স্মৃতিশক্তিকে
চাঙ্গা রাখতে
চাইলে গভীর
মনোযোগ দেওয়ার
অভ্যাস গড়ে
তোলা প্রয়োজন।
উদাহরণস্বরূপ আপনি
যখন আগামীবার
ঘরের বা
গাড়ির চাবি
রাখবেন, এটা
শুধু স্বভাববশতই
রাখবেন না,
চাবি রাখাটাকে
সচেতনভাবে উপলব্ধি
করুন। চাবি
কোথায় রাখলেন,
ভালোভাবে খেয়াল
করুন। টেবিলের
ওপর রাখলে
টেবিলটা ভালোভাবে
দেখুন, টেবিলের
উপরিভাগের মসৃণতা
উপলব্ধি করুন।
টেবিলে আর
কী কী
আছে একবার
ভালোভাবে নজর
বোলান, ড্রয়ারে
রাখলে দেখুন
না চাবিটা
কিভাবে রয়েছে।
সেখানে আলো
আছে না
অন্ধকার। অন্য
কিছুর সঙ্গে
লেগে আছে,
না আলাদা
রয়েছে। চোখ
বন্ধ করে
কল্পনায় চাবিগুলো
দেখুন। হাত
দিয়ে স্পর্শ
করুন। ঠাণ্ডা
না গরম,
কেমন অনুভব
করছেন? আপনার
সব ইন্দ্রিয়কে
কাজে লাগান।
প্রথম দিকে
মনের ওপর
এ ধরনের
ছাপ নিতে
কয়েক সেকেন্ড
লাগবে। অভ্যাস
হয়ে গেলে
লাগবে এক
মুহূর্ত।
নাম মনে রাখার উপায়
আপনি কোথায় কী রাখলেন বা কী কথা শুনলেন, তা মনে রাখার জন্য যেমন স্মৃতিদক্ষতা ও মনোযোগের অভ্যাস প্রয়োজন, তেমনি একই ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন অন্যের নাম মনে রাখার জন্য। আপনি যার নাম মনে রাখতে চান, সব ইন্দ্রিয় দিয়ে তার প্রতি মনোযোগী হোন। সহজেই নাম মনে রাখার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
১. নাম মনোযোগ দিয়ে শুনুন
২. নামের ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য লক্ষ করুন
৩. নামের অর্থের সঙ্গে চেহারার ব্যক্তিত্বের মিল বা অমিল লক্ষ করুন
৪. ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলালে ত্বকের স্পর্শের অনুভূতি লিপিবদ্ধ করুন
৫. শরীর বা চেহারার কোনো বিশেষত্ব শনাক্ত করুন
৬. বিশেষ কোনো গন্ধ বা অনুভূতির সঙ্গে তার নাম শনাক্ত করা যায় কি না দেখুন
৭. পুরনো পরিচিত কারো নাম বা ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নতুন নাম ও বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় করার চেষ্টা করুন।
কোনো ব্যক্তির নাম মনে রাখার জন্য প্রথমেই তার প্রতি মনোযোগী হোন। নামের ধ্বনিটি কি কঠিন, যেমন_সাদ্দাম, বিশ্বমিত্র? না ধ্বনি মিষ্টি যেমন_শিরিন, তানিয়া? নামটি কি যুক্তাক্ষরবিশিষ্ট? নামের ধ্বনি ছোট না বড় লক্ষ করুন। নাম মনে রাখার জন্য খেয়াল করুন নামটি তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কতটা খাপ খেয়েছে। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন রাখা হয়েছে কি না। নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুরো অবয়বে নজর বুলিয়ে যান। শরীরের গড়ন কেমন? লম্বা, বেঁটে না মাঝারি উচ্চতা। চেহারা কি প্রাণবন্ত না প্রাণহীন, চোখ কি তীক্ষ্ন না নিষ্প্রভ। ত্বক কি তৈলাক্ত, রুক্ষ না লাবণ্যময়। গায়ের রং কি ফরসা, কালো না শ্যামলা। চেহারা বা শরীরের কোনো কিছু কি প্রথমেই দৃষ্টি কেড়ে নেয়। কণ্ঠস্বর কেমন, কোনো সুগন্ধি বা আফটার শেভ লোশনের গন্ধ কি নাকে এসে লাগল। তার পুরো ব্যক্তিত্বের যে ছাপ আপনার মনে এসে লাগল, তার সঙ্গে নাম ও নামের ধ্বনিকে সংযুক্ত করে দিন। যেমন_রেশমা, ফরসা রেশমের মতো মসৃণ ত্বকের গোল মুখের হাস্যময় চেহারা। চশমা পরা হালকা গড়নের মেয়ে। অথবা ইফতেখার টাকমাথার তীক্ষ্ন চোখের নাদুসনুদুস চেহারার শ্যামলা রঙের লম্বা ধ্বনিযুক্ত নামের আফটার শেভ লোশনের গন্ধযুক্ত ছেলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন