শরীরের
গড়ন ভালো ও টান
টান করার ব্যায়াম হচ্ছে
টোনিং। এটি
পিঠ, কাঁধ, ঘাড়, কোমর,
হাত ও পা মেদহীন
করে। মূলত
বডি শেপের জন্যই এটি
করা হয়। আবার
দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্তি দেয়। তবে
যেকোনো টোনিং এক্সারসাইজ করলেই
কিন্তু হবে না।
এর আছে কিছু নিয়মকানুন।
কেন
করবেন:
১.
লাইট বা মডারেট রেজিসট্যান্স
ব্যায়াম হাত টোন করার
জন্য ভালো। ভারী
ওজন ব্যবহার করার চেয়ে একটু
বেশিবার যদি রেজিসট্যান্স চর্চা
করেন, তাহলে হাত টোনড
হয়ে যায়।
২.
যোগাসনও খুব ভালো টোনিং
এক্সারসাইজ। এতে
নির্দিষ্ট এরিয়া টার্গেট করা
যায়। ফলে
ওয়ার্ক আউটের রেজাল্ট তাড়াতাড়ি
পাওয়া যায়।
৩.
সার্কিট টোনিং ট্রাই করতে
পারেন। কয়েকটি
নির্দিষ্ট এক্সারসাইজ একত্র করে টোনিং
প্রোগ্রাম করা হয়।
হালকা ওজন ব্যবহার করা
হয় এই ওয়ার্ক আউটে। এ
ধরনের ওয়ার্ক আউটে ফ্যাট
তাড়াতাড়ি বার্ন হয় এবং
মাসল সহজেই টোনড হয়ে
যায়।
কিছু সহজ এক্সারসাইজ:
শরীরের আপার অংশের জন্য নিচের এই এক্সারসাইজগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। হাত, কাঁধ ও বুকের ওয়ার্ক আউট হবে। নেকলাইন সরু হবে।
১. পুশ আপস
ট্র্যাডিশনাল পুশ আপ শরীরের ওপরের অংশের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিটি মাসল গ্রুপের ওপর প্রভাব পড়ে আর বাড়তি কোনো সরঞ্জাম লাগে না। যাঁরা ট্র্যাডিশনাল পুশ আপ এক্সারসাইজ করতে পারেন না তাঁরা হাঁটু সামান্য ভাঁজ করে ব্যায়াম করতে পারেন। আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেলে তাঁরা ট্র্যাডিশনাল পুশ আপ ট্রাই করতে পারেন। দেয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে দেয়ালকে পুশ করাও কিন্তু একটা সহজ টেকনিক। হাতের মাসল শক্তিশালী হয়ে গেলে শুয়ে পুশ আপস করতে অনেক সুবিধা।
২. বাইসেপ কার্ল
সোজা হয়ে দাঁড়ান। এক হাতে ওজন নিয়ে কাঁধের কাছে আনুন। আস্তে আস্তে নিচে নামান। প্রথমে হাতের তালু শরীরের উল্টো দিকের ফেস করা থাকবে। তারপর যখন ওজন ওপরে তুলবেন, তখন হাতের তালু শরীরের দিকে নিয়ে আসতে হবে।
৩. ট্রাইসেপ ডিপস
বাড়িতে কোনো উঁচু জায়গা বা চেয়ারের ওপর হাত রাখুন। চেয়ারের উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়াতে হবে। এবার চেয়ারের ওপর ভর দিয়ে শরীর নিচে নামানোর চেষ্টা করুন। যতটা সম্ভব নিচে নামান। হাঁটু সামান্য ভাঁজ করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন