দাঁত
মাজা
সুস্থ-সবল দাঁতের জন্য
দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ
করা উচিত। একবার
দাঁত মাজার সঠিক নিয়মটা
হাতে ধরে শিখিয়ে দিতে
পারলে শিশু নিজেই কাজটি
করতে পারবে। আর
তা শেখানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা
হচ্ছে বাবা-মা দাঁত
ব্রাশ করার সময় শিশুকে
সঙ্গে রাখা। দিনে
অন্তত দুবার ফ্লোরাইডসমৃদ্ধ টুথপেস্ট
ও নরম ব্রাশ দিয়ে
সঠিক নিয়মে দাঁত মাজা
শেখান। বিশেষ
করে রাতে ঘুমানোর আগে
ও সকালের নাশতার পরে। সকালে
ঘুম থেকে উঠে দাঁত
মাজলে মুখ সতেজ লাগে,
কিন্তু নাশতার পর শুধু
ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজলে
রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
পাশে নয়, মাজতে হবে
ওপর থেকে নিচে।
প্রতিদিন দুবার ছাড়াও চিনি
বা চকোলেটসমৃদ্ধ খাবার খেলেও দাঁত
মাজা উচিত। কোনো
কিছু খাওয়ার পর পরিষ্কার
পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলি
করতে শেখান। অনেক
শিশু দাঁত ব্রাশ করার
সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত টুথপেস্ট নেয় অথবা দাঁত
ব্রাশ করার সময় কখনো
টুথপেস্ট গিলে ফেলে।
এতে শিশুর ফ্লুরোসিস হতে
পারে, দাঁতে সাদা বা
বাদামি দাগ দেখা দিতে
পারে এবং দাঁত ভঙ্গুর
হয়ে যেতে পারে।
এ সমস্যা প্রতিরোধে শিশুকে
ব্রাশে টুথপেস্ট নেওয়া এবং কুলকুচা
করার সঠিক নিয়ম শিখিয়ে
দিন।
নখ কাটা
সময়মতো শিশুর নখ কেটে না দিলে সে দাঁত দিয়ে নখ কাটার বদঅভ্যাস রপ্ত করে। এতে শিশুর সামনের দাঁতগুলো ক্ষয় হতে পারে এবং শিরশির করতে পারে। আর অসুখ-বিসুখ তো হবেই। নখ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে দিন। আস্তে আস্তে নখ কাটা শেখান। তাকে এভাবে শেখানো যেতে পারে, প্রথমে আপনি তার ডান হাতের নখ কেটে দিন। তারপর তাকে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের নখগুলো কাটতে বলুন। এভাবে কাটতে কাটতে একসময় সে নিজেই নখ কাটতে শিখবে। নখ কাটার পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলবেন। ব্লেড দিয়ে নখ কাটা শেখাবেন না; কারণ ব্লেডের উভয় প্রান্তই ধারালো। সবচেয়ে ভালো নেইল কাটার দিয়ে নখ কাটা। এর আরো একটি সুবিধা হলো নখ এবড়োথেবড়ো হয়ে যায় না। শিশু যাতে গভীর থেকে নখ না কাটে খেয়াল রাখুন, এতে আঙুলে ব্যথা করবে। এ ক্ষেত্রে নখের শুধু বাড়তি অংশ কাটা উচিত। সপ্তাহের ছুটির দিন নখ কাটা শেখান। দিনের আলোয় নখ কাটা ভালো।
সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
বাইরে থেকে ফিরে, টয়লেট থেকে বেরিয়ে, খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। ছোট শিশুদের হাত থেকে সাবান পিছলে যেতে পারে, তাই তাকে লিকুইড সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করানো যায় সহজে। শিশু ভুলে গেলে তাকে মনে করিয়ে দিন। এভাবে একসময় অভ্যাস হয়ে গেলে সে নিজেই ধুবে।
নোংরা কাপড়কে 'না'
বাচ্চাদের কাপড় সাধারণত তাড়াতাড়ি ময়লা হয়। এ জন্য দুইয়ের অধিক স্কুলড্রেস রাখবেন। অনেক মা-বাবাই খেলার সময় বাচ্চাদের নোংরা কাপড় পরতে বাধা দেন না। এটা ঠিক নয়। সব সময় পরিষ্কার জামাকাপড় পরা উচিত। নোংরা হলেই ধুয়ে ফেলতে হবে। অনেক সময় শিশু ধুতে দেয় না, কারণ জামাটি তার অনেক পছন্দের। ধোয়ার দিনও সে সেটি পরতে চায়। এ ক্ষেত্রে একই ডিজাইনের দুটি জামা রাখতে পারেন। পুরনো হলেও পরিষ্কার কাপড়কেই প্রাধান্য দেবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন