বিয়ের মাধ্যমে দুটি মানুষ একসূত্রে
বাঁধা পড়ে। দুটি
অচেনা পরিবার মিলিত হয়
একসঙ্গে। আর
এসব কিছু হয় পরিচিতজনদের
উপস্থিতিতে। তাই
সবাইকে এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ
করা বিয়ের এটি ট্রেডিশন। আত্মীয়
যত দূরেই থাকুক না
কেন, তার কাছে পৌছে
যায় পত্রটি। তবে
কাছে যারা থাকেন, তারাও
বাদ পড়েন না এ
থেকে। কবে
থেকে এর প্রচলন শুরু
হয় তার সঠিক কোনো
প্রমাণ নেই। তবে
এটি মূলত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির
অংশ। নিমন্ত্রণে
কেউ আসতে পারুক বা
না পারুক, এটি পৌছানোর
মাধ্যমে আন্তরিকতা প্রকাশ পায়।
যদিও আজকাল প্রযুক্তির যুগে
অনেক দাওয়াতই পরিণত হয়েছে ক্ষুদে
বার্তায়। তবে
বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে
বিয়ের কার্ড। আর
তাই কার্ডটি হওয়া চায় আকর্ষণীয়।
আমাদের দেশে শীতকালে বেশি বিয়ে হয়। আর শীত তো এসেই গেছে। বিয়ের উৎসবের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এটি কার্ডের দোকানগুলোতে গেলেই দেখা যায়। দোকানিদের একটু দম ফেলাও সময় নেই। পুরানা পল্টনের আইডিয়াল প্রোডাক্টসে প্রচণ্ড ভিড়। কথা হলো ফিরোজ আহম্মেদের সঙ্গে। তিনি এসেছেন তার মেয়ের বিয়ের কার্ড পছন্দ করতে। তিনি দুটি কার্ডের মধ্যে কম্পেয়ার করছিলেন। তিনি বলেন, এখন অন্য সব মাধ্যমে কার্ডের চল নেই। আছে একমাত্র বিয়েতে। তাই অনেক যাচাই-বাছাই করে কিনতে হচ্ছে। বিয়ের আনন্দ শুরু হয় কার্ড কেনার মাধ্যমে।
নানা ধরনের কার্ড রয়েছে। বেশি চলছে দুই দিকের ভাঁজের কার্ডগুলো। তবে ডিজাইনে এসেছে বেশ পরিবর্তন। কার্ডের আকর্ষণ বাড়াতে এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের ফিতা, টিস্যু কাপড়, পুঁতি, চুমকি ও নেট। ভিন্নমাত্রা যুক্ত করেছে আদিকালের একটি কার্ড, যা দেখতে অনেকটা রাজসভার ফরমানের মতো। তিন ভাঁজের নিমন্ত্রণ পত্রটিও বেশ আকর্ষণীয়। আমাদের দেশে আজাদ ও আইডিয়াল প্রোডাক্টসের কার্ড বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলা বা ইংরেজিতে আপনার কার্ডটি করে নিতে পারেন। এজন্য খরচ হবে কার্ডপ্রতি ২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। বানিয়ে নিতে চাইলে ৭ দিন সময় দিতে হবে। নিউমার্কেট, কাঁটাবন, পুরানা পল্টন, উত্তরা, গুলশান যে কোনো জায়গায় এদের শোরুমে অর্ডার দিতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন