বিয়ে বাড়িতে নতুন অতিথিদের
আগমন ঘটবে, তাই সেখানেও
থাকা চাই নতুনত্বের ছোঁয়া,
যা বিয়ের আনন্দকে আরও
আনন্দময় করে তুলবে।
বিয়ে পরে নতুন সংসার। সেটা
শুধুই দু'জনেরই হোক
কিংবা আর পাঁচজনের সঙ্গে
মিলেমিশে জমজমাট সংসার।
অন্দরমহল সাজাতে তো ক্ষতি
নেই। আপনার
অন্তরের সৌরভ প্রতিফলিত হোক
নতুন অন্দরমহলে। যারা
যৌথ পরিবারে বাস করেন তাদের
বিয়ের দুই সপ্তাহে আগে
থেকে ঘর পরিষ্কার করতে
হবে।
একদিনে পুরো ঘর পরিষ্কার
না করাই ভালো।
প্রতিদিন আলাদা ঘর পরিষ্কার
করতে হবে। প্রথমে
খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির
দেয়ালের কী অবস্থা।
যদি রঙের অবস্থা ভালো
থাকে সে ক্ষেত্রে রঙ
করার ঝামেলাতে না যাওয়াই ভালো। কিন্তু
দেয়ালের রঙের অবস্থা যদি
খুব বেশি ভালো না
থাকে তাহলে সম্ভব হলে
পুরো বাড়িটাকেই একবারে রঙ করে
নিতে পারেন। নবদম্পত্তির
বেডরুমের রঙ নির্বাচনের সময়
তাদের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব
দিন।
সে
ক্ষেত্রে স্কাইবল্গু, পিচ, লাইট ইয়েলো
রঙ বেছে নিতে পারেন। তবে
লক্ষ্য রাখবেন, ঘরে যেন একটি
রোমান্টিক আবহ তৈরি হয়। ঘরের
রঙকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন করুন
নতুন পর্দা, বিছানার চাদর,
কুশন কভার এমনকি মেঝেতে
রাখা নরম পাপোশও।
বিয়েতে সবকিছু মিলিয়ে খরচের পরিমাণ এমনিতেই অনেক। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব প্ল্যান করে প্রতিটি কাজ করতে। প্ল্যানিং করে নিন কোন ঘরের কোন জিনিসটা বদলালে ঘরের চেহারাটাই বদলে যাবে_ বললেন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। ফার্নিচারে জমে থাকা ধুলাবালি পরিষ্কার করে নিন এবং দেখে নিন কোনো বিশেষ ফার্নিচার পরিবর্তন করবেন কি-না, নাকি নতুন করে একটু রঙ করিয়ে নিলেই যথেষ্ট। নতুন করে পর্দা তৈরি করতে পারলে ভালো। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে পুরনো পর্দায় লেস, কাতান পাড় কিংবা গ্রিল লাগিয়ে দিতে পারেন। পুঁতি, কড়ির পর্দা লাগাতে পারেন লিভিং রুম এবং ডাইনিং রুমের মধ্যবর্তী স্থানে। সম্ভব হলে সোফার কভার বদলে ফেলুন সঙ্গে কালারফুল কুশন কভার পর্দার সঙ্গে মিল করে রেখে দিতে পারেন। ছোট ঘরের জন্য ভাইব্রেন্ট কালারের পর্দা বেছে নিতে পারেন। এতে ঘর উজ্জ্বল দেখাবে। ডাইনিং টেবিলের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য টেবিল ম্যাট, টেবিল রানার ও ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। ঘরের লাইটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট পরিবর্তন করে সহজেই পাল্টে ফেলুন চারপাশের পরিবেশ। বিভিন্ন ধরনের ল্যাম্প হোড, হ্যাংজিং লাইট, ঝাড়বাতি ও মোমবাতির ব্যবহারেও তৈরি হবে নান্দনিক পরিবেশে। এ ছাড়া ঘরের বিভিন্ন কোণে ইনডোর প্লান্টসও রাখতে পারেন। পুরনো শোপিস সরিয়ে যুক্ত করুন কিছু নতুন শোপিস।
এ তো গেল যৌথ পরিবারের কথা। এবার আসা যাক একসঙ্গে পথচলার বিশ্বাস রাখেন এমন দু'জন মানুষের অন্দর রচনা। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, জীবনকে দেখার দৃষ্টি নিয়েই নতুনভাবে আবিষ্কার করুন স্বপ্নের অন্দরমহল।
দু'জন মানুষের 'মনের মিল' একটি ফুলের হাজার ভাষায় আপনার অন্দরমহল সুরভিত হয়ে উঠবে বললেন ফারজানা গাজী। তিনি আরও বলেন, যেহেতু শুধু দু'জন মানুষের একসঙ্গে থাকা তাই সব কিছু নতুন করে শুরু করার সুযোগ থাকে প্রচুর। সে ক্ষেত্রে ঘরের প্রতিটি ফার্নিচার নির্বাচন করুন অনেক ভেবেচিন্তে। ফার্নিচার কেনার সময় লক্ষ্য রাখুন দু'জনের মতামতকে সমান প্রাধান্য দিতে। শুধু ফার্নিচার কেন, অন্দরমহলের প্রতিটি জিনিসেই। সেটা দেয়ালের রঙই হোক, পর্দা, বিছানার চাদর কিংবা ল্যাম্প, সম্ভব হলে বারান্দার ইনডোর প্লান্টস রাখুন সঙ্গে একটি দোলনা।
নববধূর সাজসজ্জায় নয়, বাড়ির অন্দরমহলও রঙিন, উষ্ণ হয়ে উঠতে পারে সামান্য ফুলের ছোঁয়ায়। ফুল আসলে কোথায় সাজাবেন, কীভাবে সাজাবেন তার কোনো ব্যাকরণ হয় না, আপনার মনের খুশিমতো সাজান। অন্দরমহলে কয়েকটা জায়গা ফুল সাজানোর জন্য আদর্শ। মূল দরজা, সিলিং রুম, সেন্টার টেবিল, বেডরুমের সাইড টেবিল কিংবা ড্রেসিং টেবিল। তাই আপনার নতুন জীবন শুরু করুন সাজ, রঙ এবং ফুলের সৌরভে ভরপুর করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন