বিয়ের
অনুষ্ঠানে কোন্ মেয়ে না
চায় অপরূপার মতো সাজতে! বরের
সাজের ব্যাপারটিও এখন সমান গুরুত্ব
পায়। একটি
বিশেষ দিন, আছে হৈ-হুল্লোড়, সম্পর্কের টানাপড়েনের ঝক্কি, সেই সঙ্গে
শপিং, কমিউনিটি সেন্টারসহ বিয়ে নামক এই
বিশাল আয়োজনে সমস্যার লাগাম
টেনে ধরতে এই
আয়োজন।
অলঙ্কার ছাড়া বিয়ের সাজ এক অর্থে অসম্পূর্ণই। কনের সাজের প্রচলন শুরু হয় প্রাচীনকাল থেকেই। অলঙ্কারে অলঙ্কিত হওয়ার সেই চিরন্তন অভিলাষ বিশ শতকের নারীর মনে এখনও বেঁচে আছে। বিয়েতে কনেকে সাজাতে কী কী ধরনের গহনা দরকার, কোন অঙ্গের কোন গহনা, সেগুলোরও প্রাপ্তিস্থানের খোঁজখবর নিয়ে থাকছে ওয়েডিং এক্সেসরিজের কথা।
গোল্ড প্লেটেড এক্সেসরিজ : সোনার এক্সেসরিজের চাহিদার
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে
ইমিটেশন, সিটি গোল্ড বা
গোল্ড প্লেটেড এক্সেসরিজের চাহিদা। গোল্ড
কালার না করে আপনি
এন্টিক কালার কপার কালারের
এক্সেসরিজ তৈরি করতে পারেন। চাঁদনীচক,
গাউছিয়া, মেট্রো, রাপা প্লাজা, মৌচাকসহ
বিভিন্ন মার্কেটে আপনি পছন্দসই ডিজাইন
অর্ডার দিয়ে বানাতে পারেন
বা রেডিমেডও কিনতে পারেন।
এসব গোল্ড প্লেটেড এক্সেসরিজের
খরচ পড়বে ২-১৫
হাজার বা তার চেয়েও
বেশি।
সোনার গহনা : আগে বিয়েতে
হরহামেশাই কনেকে ২০-৩০
ভরি সোনার গহনা দেওয়া
হতো। কিন্তু
দামের ঊর্ধ্বগতির ফলে দিন দিন
এর পরিমাণ কমছে।
তবে বিয়ের সাজসজ্জায় সোনার
গহনার প্রাধান্য ছিল, আছে এবং
থাকবে। বাজারে
সোনা বেচাকেনা হয় ক্যারেট হিসেবে। যেমন
১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২
ক্যারেট। এছাড়াও
আছে সনাতন সোনা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুসারে, ১৮
ক্যারেট সোনার ভরিপ্রতি দাম
২৩ হাজার ৯৫, ২১
ক্যারেট ২৬ হাজার ১২৭,
২২ ক্যারেট ২৭ হাজার ৩৫২
এবং সনাতন সোনার ভরি
১৮ হাজার ৭১ টাকা। যে
কোনো ক্যারেটের সোনার গহনার বেলায়
অবশ্যই মজুরি দিতে হবে। মজুরির
পরিমাণ হতে পারে ২০০০
থেকে ৫০০০ টাকা।
সীতাহার বানানো সম্ভব আড়াই
থেকে ৫ ভরি সোনায়। দাম
পড়বে ৬০ হাজার থেকে
৩ লাখ, দুল ২৩
হাজার থেকে ১ লাখ,
চুড়ি ৫০ হাজার থেকে
দেড় লাখ, মানতাসা ২৫
হাজার থেকে ১ লাখ,
টিকলি ২০ হাজার থেকে
৭০ হাজার, ঝাপটা ২৩
হাজার থেকে ১ লাখ,
আংটি ১৫ হাজার থেকে
৯০ হাজার, তাজ ২০
হাজার থেকে ৫০ হাজার।
হীরার গহনা : গহনার বাজারে
হীরা বা ডায়মন্ড আভিজাত্যের
প্রতীক। হীরার
আলোকছটায় কনের সাজ হয়ে
ওঠে দৃষ্টিসুখকর। আমাদের
দেশে হীরা আসে দুবাই,
সিঙ্গাপুর, বেলজিয়াম ও ভারত থেকে। হীরার
মান যাচাইয়ে 'ফোর সি'র
সমীকরণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আর এই 'ফোর সি'
হচ্ছে ক্যারেট, ক্ল্যারিটি, কালার ও কাট। হীরার
ওজন ও আকারের নিরিখে
নির্ধারিত হয় 'ক্যারেট'।
স্বচ্ছতা নির্দেশ করে 'ক্ল্যারিটি'।
এরপরের 'সি' হচ্ছে 'কালার'। সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হীরার 'কাটিং'। কাটের
ওপর নির্ভর করেই এর
দাম। তাই
হীরার মান যাচাইয়ে 'ফোর
সি মেজারমেন্ট'ই একমাত্র পদ্ধতি। হীরার
একক সেন্ট। এর
কালার হয়ে থাকে নীল,
সবুজ, কালো, স্বচ্ছ সাদা,
গোলাপি, বেগুনি, কমলা, লাল, হলুদ,
খয়েরি। তবে
বেশি দেখা যায় হলুদ
ও খয়েরি। গোল্ডের
দারুণ জুড়িদার হীরা। আজকাল
প্লাটিনাম ও হীরার যুগলবন্দিও
ঘটছে। তবে
হোয়াইট গোল্ডের সঙ্গে হীরাকে সবচেয়ে
ভালো দেখায়। হীরার
গহনার জগতে রয়েছে এনগেজমেন্ট
রিং, ওয়েডিং রিং, দুল,
নাকফুল, নেকলেস, ব্রেসলেট, আর্মলেট, টপস, লকেট সেট
ইত্যাদি। দামও
নানারকম। রিং
১৫ হাজার থেকে ১০
লাখ, টপস ১২ হাজার
থেকে ৪ লাখ, লকেট
৭০ হাজার থেকে ৪
লাখ, লকেট সেট ৭০
হাজার থেকে ৮ লাখ,
নাকফুল ৩২০০ থেকে ১
লাখ আর বিয়ের সেট
প্রায় ৫০ লাখ টাকা। হীরার
বিয়ের সেট অর্ডারমতো সরবরাহ
করে থাকে জুয়েলারি শপগুলো।
প্লাটিনামের গহনা : এটি পৃথিবীর
সবচেয়ে দামি ও দুর্লভ
ধাতু। প্লাটিনামের
গহনা বেশ সুন্দর ও
সূক্ষ্ম হয়ে থাকে।
আজ থেকে ৩ হাজার
বছর আগে মিসরীয়রাই প্রথম
প্লাটিনাম ব্যবহার করে। সে
সময় প্লাটিনাম নিয়ে কাজ শুরু
হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকায়ও।
মনে করা হয়, প্লাটিনামের
তৈরি ওয়েডিং রিং বর
ও কনের ভালোবাসা এবং
বিশ্বাস স্থাপনের অব্যর্থ দাওয়াই। আমাদের
দেশে প্লাটিনামের গহনা তৈরি হয়
না; তবে অর্ডার দিলে
জুয়েলারি শপগুলো দেশের বাইরে
থেকে এনে দেয়।
হোয়াইট গোল্ডের গহনা
হাল ফ্যাশনের গহনার তালিকায় শুরুতেই আসে হোয়াইট গোল্ডের নাম। দিন দিনই বাড়ছে এর চাহিদা। এর তৈরি গহনা কনের সাজে যুক্ত করে অন্যতর সৌন্দর্য। হোয়াইট গোল্ড আসলে নিকেল ও প্যালাডিয়ামের সংমিশ্রণ। এটিও ক্যারেটে পরিমাপ করা হয়। হোয়াইট গোল্ডের রিঙের দাম ১৫ হাজার থেকে ৮ লাখ, টব ১২ হাজার থেকে ২ লাখ, লকেট ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ, লকেট সেট ৬০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা।
হলেখা : ফাতেমা শারমিন লাকী; ছবি : পারসোনা
বরের পোশাক
বিয়ের মধ্যমণি হচ্ছেন বর। তাই বরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই স্বাভাবিক। বরের পোশাক অবশ্যই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হতে হবে। তবে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বরের গায়ের রঙ ও উচ্চতার সঙ্গে একটা মিল থাকতে হবে। বরের পোশাক কেনা কিংবা ভাড়ায়, দু'ভাবেই মিলবে।
শেরওয়ানি : সুলতান শেরওয়ানির দাম ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা, ভাড়া ৭,৫০০ থেকে ১২,০০০ টাকা। রূপমের দাম ৩৭৫০ থেকে ৫,০০০ টাকা, ভাড়া ১,০০০ থেকে ১,৫০০ টাকা, জামাই শেরওয়ানি ৮,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা, ভাড়া ২,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা, ইন্ডিয়ান থ্রি পিস শেরওয়ানি ১০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা, ভাড়া ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা। জয়পুর শেরওয়ানি ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা, ভাড়া ৫,০০০ থেকে ৭,৫০০ টাকা।
প্রিন্স কোট : প্রিন্স কোটের মধ্যে পাবেন ইতালীয় প্রিন্স কোট, ইন্ডিয়ান প্রিন্স কোট, অ্যামব্রয়ডারি প্রিন্স কোট, নরমাল প্রিন্স কোট। দাম ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত। ভাড়া ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা। ভাড়া শর্ত হিসেবে ভাড়ার টাকা পরিশোধ ও দামের অর্ধেক টাকা জমা ও প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ রেখে ভাড়া নিতে পারবেন।
পাগড়ি : পাগড়ি রয়েছে ইন্ডিয়ান টিস্যু চুনড়ি, তোসা টিস্যু। দাম ১ হাজার থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত। ভাড়া পড়বে ৩৫০ থেকে ১ হাজার টাকা।
নাগরা : নবাব নাগরা, চটি নাগরা, নরমাল নাগরার দাম ২২০ থেকে ৯৭৫ টাকা পর্যন্ত। নাগরা ভাড়া হয় না।
কোথায় পাবেন : বিয়ের বাজার-সদাইয়ের জন্য ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন মোড় ও বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটে যেতে পারেন।
কনের পোশাক
কনের পোশাকের প্রসঙ্গ এলেই সবার আগে মাথায় আসে লাল রঙের বেনারসি শাড়ি। গত শতকের শেষ অবধি তাই ছিল উপমহাদেশীয় কনের পোশাকের প্রচলিত ট্রেন্ড। তবে নতুন শতকে এসে তা আর লাল রঙে বাধা নেই। তাতে লেগেছে অন্য রঙ, লাল রঙের পাশাপাশি বেছে নিয়েছেন সোনালি, কমলা, ফিরোজা, গোলাপি, পিচ, সাদা, পেস্ট আর মেরুন রঙ। বিয়ের পোশাকও আর শুধু বেনারসি শাড়িতে আটকে নেই। সালোয়ার-কামিজ আর লেহেঙ্গাও জায়গা করে নিয়েছে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে। কাপড় হিসেবে জামদানি, সিল্ক, ক্রেপ, শিফন, জর্জেট, সুতিও ব্যবহার হচ্ছে। বিয়ের সাজে ওড়নাও এখন জায়গা করে নিয়েছে সব রকমের পোশাকের সঙ্গে। আগে শুধু লাল রঙা ওড়না ব্যবহার হলেও ফ্যাশন জগতের করিতকর্মাদের কল্যাণে নকশি কাঁথার সেলাই, রঙতুলির ছোঁয়ায় ওড়না এখন কনের আভিজাত্যকেই তুলে ধরে। মসলিন, টিস্যু, অরগান্ডা সিল্ক, পিওর সিল্কের ওড়নাই এখন বেশি প্রচলিত। আর রঙে মেরুন, ফিরোজা, সোনালি, নীল, অফ হোয়াইট, ক্রিম, সবুজ, ম্যাজেন্টা, পিংকেরও আধিপত্য।
মাহিন খান, শাহরুখ শহীদ, লিপি খন্দকার, ফারজানা ইউসুফ মূলত কনের পোশাকই তৈরি করেন বেশি। মাহিন খানের মতে, বাঙালি বধূকে লাল রঙা শাড়িতেই মানায় বেশি। তবে অন্য রঙ হলেও ক্ষতি নেই। বেনারসি-জামদানির পাশাপাশি থাকতে পারে দেশি সিল্ক, ক্রেপ, শিফন বা জর্জেট। শাড়িতে বিডস আর মেটালের কাজও থাকতে পারে। শাহরুখ শহীদও একমত প্রকাশ করেন মাহিন খানের সঙ্গে। কনের পোশাক দেশীয় রীতির হওয়াটাই ভালো। লাল, মেরুন, অফ হোয়াইট সবুজ রঙকে তিনি প্রাধান্য দেন বিয়ের পোশাকের রঙ হিসেবে। আর কাপড় হিসেবে তার পছন্দ জামদানি, সিল্ক, মসলিন, জামদানি আর বেনারসি। লিপি খন্দকার লাল জামদানি শাড়িকেই প্রাধান্য দেন বিয়ের পোশাক হিসেবে। শাড়িতে জরির কাজ কনের লুককে আরও গর্জিয়াস করে তোলে। জামদানি ছাড়াও শাড়ি হতে পারে জর্জেট বা সিল্ক। বিডস বা সিকোয়েন্সের কাজ করা শিফন শাড়িও খারাপ নয়। ফারজানা ইউসুফ মনে করেন জামদানি বা বেনারসি ছাড়াও মিরপুরের কাতানও বিয়ের পোশাক হিসেবে পারফেক্ট। লালের বাইরে তিনি অন্য কোনো রঙকে বিয়ের পোশাকের রঙ হিসেবে ভাবতে চান না। তবে লালের নানা শেড নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। ডিজাইনার ছাড়াও ফ্যাশন হাউসগুলোতেও দেখা যেতে পারে। আড়ংয়ের জামদানি, সিল্ক আর মসলিন, ড্রেসিডেলে সিল্ক, সুতি আর শিফনের এক্সক্লুসিভ, বিবিয়ানার জর্জেট, সিল্ক, ক্রেপ, এমপ্রিন্টের মিরপুর কাতান, ইটিসি ফ্যাশন এক্সক্লুসিভে ভারতীয় ডিজাইনারদের কাজ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও নিউ মার্কেট, গাউসিয়া, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুরের বেনারসি এলাকা থেকেও দেখতে পারেন আপনার পছন্দের শাড়ি।
হলেখা : আল মারুফ; ছবি : ওয়েডিং ডায়েরি
বিয়ের সাজ
প্রত্যেক নারীর জীবনেই বিয়ে এক বিশেষ লগ্ন এবং স্মরণীয় দিন। এ দিন সবার দৃষ্টি থাকে কনের দিকে। কনের গ্রুমিং নিয়ে লিখেছেন বিউটি এক্সপার্ট কানিজ আলমাস খান
বিয়ের অন্তত ৭ দিন আগে পার্লারে গিয়ে কিছু পরিচর্যা করতে হবে। যাকে আমরা গ্রুমিং বলি।
ত্বক : ত্বক পরিষ্কার রাখতে, উজ্জ্বলতা ও টানটান ভাব আনতে ফেসিয়ালের কোনো বিকল্প নেই। আর বিয়ের সময় তো ফেসিয়াল বেশি জরুরি। বিয়ের সময় ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই কয়েকদিন আগে ফেসিয়াল করিয়ে নিতে হবে। এ সময় ত্বকের আলাদা যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। তাই ত্বক বুঝে কোন ফেসিয়াল আপনার জন্য ভালো হবে সেটাই নির্ধারণ করুন।
হাত-পা : হাত ও পা সুন্দর করে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয়ই কম নয়। ট্রিটমেন্ট হিসেবে করাতে পারেন ফুট ম্যাসাজ। ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর। হাতের নখে বিভিন্ন রঙের নেইল পলিশ, ব্রাশ, অ্যাক্রিলিক পেইন্ট, লেইস ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। নখের নকশার ওপর স্টোন, গ্গি্নটারস প্রভৃতি উপকরণ লাগানো যায়।
আইব্রু থ্রেডিং : মুখের উদ্দীপ্ত অঙ্গ হলো চোখ। চোখকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য আইব্রু থ্রেডিংয়ের বিকল্প নেই। বিয়ের ৩ দিন আগে বিউটি স্যালুনে গিয়ে আইব্রো থ্রেডিং করিয়ে নিতে পারেন।
ওয়াক্সিং : শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে ওয়াক্সিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। কষ্টসাধ্য পদ্ধতি হওয়ায় ঘরে বসে নিজে নিজে না করে ভালো কোনো স্যালুন ও অভিজ্ঞ কারও কাছে করানোই উত্তম। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিমের সাহায্যে ওয়াক্সিং করিয়ে নিন।
চুল : আপনার ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যকে নিমিষেই বদলে দিতে পারে মানানসই হেয়ারস্টাইল। চুলের পরিচর্যা ও স্টাইলিংয়ে কালার, পার্মিং, রিবন্ডিং, ডিপ কন্ডিশনার, বিভিন্ন হেয়ার কাট এখন ইন-ট্রেন্ড। চুল কাটাতে চাইলে বিয়ের ৬ দিন আগে স্যালুন ও পার্লারে বুকিং দেওয়া ভালো। চুল রিবন্ডিং, কার্ল বা পার্ম করতে চাইলে তা বিয়ের ১০ দিন আগে থেকে করে নেওয়া ভালো।
বিয়ে : শাড়ির রঙ থেকে শুরু করে মেকআপ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল, গাঢ় রঙের ব্যবহারই বেশি করা হয়। ইদানীং আবার লাল কাতান শাড়ির চল ফিরে এসেছে। এখানে কনেকে লাল কাতানের সঙ্গে জারদৌসি কাজের লাল ওড়না পরানো হচ্ছে। বিয়েতে ওড়না পরাতে হয় বলে চুলে খোঁপা করাই ভালো। এতে যেমন সুন্দর দেখায় তেমনি চুল এলোমেলো হওয়ার হাত থেকে বাঁচা যায়। বিয়েতে কনের বেস মেকআপ বেশ গাঢ় হয়। এখানে চোখের মেকআপে আইলাইনার, আইল্যাশ ও মাশকারা লাগানো হয়েছে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে সোনালি আর গাঢ় বাদামি আইশ্যাডো, লাল ব্ল্যাশন আর গাঢ় লাল লিপস্টিক দেওয়া হয়েছে। গাঢ় মেকআপের মধ্যেও উজ্জ্বলতা আনার জন্য গোল্ডেন শিমার দেওয়া হয়েছে লাইন আর ব্ল্যাশনের ওপর। হাতে মেহেদি ও শাড়ির সঙ্গে রঙ মিলিয়ে হ্যান্ডপেইন্ট করা হয়েছে। কনেকে পরানো সব গহনাই বেশ বড়। কপালে বড় টিকলী টায়রার জন্য কনেকে টিপ পরানো হয়নি। এছাড়া কানে যেহেতু বড় ঝুলানো দুল আছে, তাই ছোট নাকফুল পরেছে কনে। গলায় হাঁসুলি হারের সঙ্গে সীতাহার বিয়ের সাজকে আরও জমকালো করেছে। হাত ভরে সোনার বালার সঙ্গে কাচের চুড়ি আর আংটি বিয়ের সাজে এনেছে পূর্ণতা।
বরপক্ষ ও কনেপক্ষ
বিয়ে মানেই সাজ সাজ ভাব। এ আয়োজন বরপক্ষ ও কনেপক্ষ উভয়ের জন্যই আনন্দের। কে কিভাবে সাজবেন, তা নিয়ে চলে নানা জল্পনা। পার্টিসাজ নিয়ে লিখেছেন হেয়ারোবিক্সের তানজিমা শারমিন মিউনি
মেকআপ মানে মাস্ক পরা নয়। মেকআপ মানে চেহারার দোষ-ত্রুটি ঢাকা এবং প্লাস পয়েন্টগুলো ফুটিয়ে তোলা। বিয়ের সাজের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো বিয়েতে অনেক পর্ব থাকে। সব পর্বের জন্য আলাদা সাজ রয়েছে, বিয়ের দিন সবাই একটু জমকালো সাজতে পছন্দ করে। বেইস মেকআপ গাঢ় দিতে হবে। পোশাকের ওপর নির্ভর করে আপনার সাজ। সাধারণত বিয়ের পোশাক গাঢ় রঙের হয়। ফাউন্ডেশন লাগিয়ে পানিতে পাফ ভিজিয়ে পুরো মুখে ভালো করে ব্লেন্ড করুন।
হাল ফ্যাশনের গহনার তালিকায় শুরুতেই আসে হোয়াইট গোল্ডের নাম। দিন দিনই বাড়ছে এর চাহিদা। এর তৈরি গহনা কনের সাজে যুক্ত করে অন্যতর সৌন্দর্য। হোয়াইট গোল্ড আসলে নিকেল ও প্যালাডিয়ামের সংমিশ্রণ। এটিও ক্যারেটে পরিমাপ করা হয়। হোয়াইট গোল্ডের রিঙের দাম ১৫ হাজার থেকে ৮ লাখ, টব ১২ হাজার থেকে ২ লাখ, লকেট ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ, লকেট সেট ৬০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা।
হলেখা : ফাতেমা শারমিন লাকী; ছবি : পারসোনা
বরের পোশাক
বিয়ের মধ্যমণি হচ্ছেন বর। তাই বরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই স্বাভাবিক। বরের পোশাক অবশ্যই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হতে হবে। তবে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বরের গায়ের রঙ ও উচ্চতার সঙ্গে একটা মিল থাকতে হবে। বরের পোশাক কেনা কিংবা ভাড়ায়, দু'ভাবেই মিলবে।
শেরওয়ানি : সুলতান শেরওয়ানির দাম ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা, ভাড়া ৭,৫০০ থেকে ১২,০০০ টাকা। রূপমের দাম ৩৭৫০ থেকে ৫,০০০ টাকা, ভাড়া ১,০০০ থেকে ১,৫০০ টাকা, জামাই শেরওয়ানি ৮,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা, ভাড়া ২,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা, ইন্ডিয়ান থ্রি পিস শেরওয়ানি ১০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা, ভাড়া ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা। জয়পুর শেরওয়ানি ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা, ভাড়া ৫,০০০ থেকে ৭,৫০০ টাকা।
প্রিন্স কোট : প্রিন্স কোটের মধ্যে পাবেন ইতালীয় প্রিন্স কোট, ইন্ডিয়ান প্রিন্স কোট, অ্যামব্রয়ডারি প্রিন্স কোট, নরমাল প্রিন্স কোট। দাম ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত। ভাড়া ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা। ভাড়া শর্ত হিসেবে ভাড়ার টাকা পরিশোধ ও দামের অর্ধেক টাকা জমা ও প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ রেখে ভাড়া নিতে পারবেন।
পাগড়ি : পাগড়ি রয়েছে ইন্ডিয়ান টিস্যু চুনড়ি, তোসা টিস্যু। দাম ১ হাজার থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত। ভাড়া পড়বে ৩৫০ থেকে ১ হাজার টাকা।
নাগরা : নবাব নাগরা, চটি নাগরা, নরমাল নাগরার দাম ২২০ থেকে ৯৭৫ টাকা পর্যন্ত। নাগরা ভাড়া হয় না।
কোথায় পাবেন : বিয়ের বাজার-সদাইয়ের জন্য ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন মোড় ও বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটে যেতে পারেন।
কনের পোশাক
কনের পোশাকের প্রসঙ্গ এলেই সবার আগে মাথায় আসে লাল রঙের বেনারসি শাড়ি। গত শতকের শেষ অবধি তাই ছিল উপমহাদেশীয় কনের পোশাকের প্রচলিত ট্রেন্ড। তবে নতুন শতকে এসে তা আর লাল রঙে বাধা নেই। তাতে লেগেছে অন্য রঙ, লাল রঙের পাশাপাশি বেছে নিয়েছেন সোনালি, কমলা, ফিরোজা, গোলাপি, পিচ, সাদা, পেস্ট আর মেরুন রঙ। বিয়ের পোশাকও আর শুধু বেনারসি শাড়িতে আটকে নেই। সালোয়ার-কামিজ আর লেহেঙ্গাও জায়গা করে নিয়েছে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে। কাপড় হিসেবে জামদানি, সিল্ক, ক্রেপ, শিফন, জর্জেট, সুতিও ব্যবহার হচ্ছে। বিয়ের সাজে ওড়নাও এখন জায়গা করে নিয়েছে সব রকমের পোশাকের সঙ্গে। আগে শুধু লাল রঙা ওড়না ব্যবহার হলেও ফ্যাশন জগতের করিতকর্মাদের কল্যাণে নকশি কাঁথার সেলাই, রঙতুলির ছোঁয়ায় ওড়না এখন কনের আভিজাত্যকেই তুলে ধরে। মসলিন, টিস্যু, অরগান্ডা সিল্ক, পিওর সিল্কের ওড়নাই এখন বেশি প্রচলিত। আর রঙে মেরুন, ফিরোজা, সোনালি, নীল, অফ হোয়াইট, ক্রিম, সবুজ, ম্যাজেন্টা, পিংকেরও আধিপত্য।
মাহিন খান, শাহরুখ শহীদ, লিপি খন্দকার, ফারজানা ইউসুফ মূলত কনের পোশাকই তৈরি করেন বেশি। মাহিন খানের মতে, বাঙালি বধূকে লাল রঙা শাড়িতেই মানায় বেশি। তবে অন্য রঙ হলেও ক্ষতি নেই। বেনারসি-জামদানির পাশাপাশি থাকতে পারে দেশি সিল্ক, ক্রেপ, শিফন বা জর্জেট। শাড়িতে বিডস আর মেটালের কাজও থাকতে পারে। শাহরুখ শহীদও একমত প্রকাশ করেন মাহিন খানের সঙ্গে। কনের পোশাক দেশীয় রীতির হওয়াটাই ভালো। লাল, মেরুন, অফ হোয়াইট সবুজ রঙকে তিনি প্রাধান্য দেন বিয়ের পোশাকের রঙ হিসেবে। আর কাপড় হিসেবে তার পছন্দ জামদানি, সিল্ক, মসলিন, জামদানি আর বেনারসি। লিপি খন্দকার লাল জামদানি শাড়িকেই প্রাধান্য দেন বিয়ের পোশাক হিসেবে। শাড়িতে জরির কাজ কনের লুককে আরও গর্জিয়াস করে তোলে। জামদানি ছাড়াও শাড়ি হতে পারে জর্জেট বা সিল্ক। বিডস বা সিকোয়েন্সের কাজ করা শিফন শাড়িও খারাপ নয়। ফারজানা ইউসুফ মনে করেন জামদানি বা বেনারসি ছাড়াও মিরপুরের কাতানও বিয়ের পোশাক হিসেবে পারফেক্ট। লালের বাইরে তিনি অন্য কোনো রঙকে বিয়ের পোশাকের রঙ হিসেবে ভাবতে চান না। তবে লালের নানা শেড নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। ডিজাইনার ছাড়াও ফ্যাশন হাউসগুলোতেও দেখা যেতে পারে। আড়ংয়ের জামদানি, সিল্ক আর মসলিন, ড্রেসিডেলে সিল্ক, সুতি আর শিফনের এক্সক্লুসিভ, বিবিয়ানার জর্জেট, সিল্ক, ক্রেপ, এমপ্রিন্টের মিরপুর কাতান, ইটিসি ফ্যাশন এক্সক্লুসিভে ভারতীয় ডিজাইনারদের কাজ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও নিউ মার্কেট, গাউসিয়া, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুরের বেনারসি এলাকা থেকেও দেখতে পারেন আপনার পছন্দের শাড়ি।
হলেখা : আল মারুফ; ছবি : ওয়েডিং ডায়েরি
বিয়ের সাজ
প্রত্যেক নারীর জীবনেই বিয়ে এক বিশেষ লগ্ন এবং স্মরণীয় দিন। এ দিন সবার দৃষ্টি থাকে কনের দিকে। কনের গ্রুমিং নিয়ে লিখেছেন বিউটি এক্সপার্ট কানিজ আলমাস খান
বিয়ের অন্তত ৭ দিন আগে পার্লারে গিয়ে কিছু পরিচর্যা করতে হবে। যাকে আমরা গ্রুমিং বলি।
ত্বক : ত্বক পরিষ্কার রাখতে, উজ্জ্বলতা ও টানটান ভাব আনতে ফেসিয়ালের কোনো বিকল্প নেই। আর বিয়ের সময় তো ফেসিয়াল বেশি জরুরি। বিয়ের সময় ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই কয়েকদিন আগে ফেসিয়াল করিয়ে নিতে হবে। এ সময় ত্বকের আলাদা যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। তাই ত্বক বুঝে কোন ফেসিয়াল আপনার জন্য ভালো হবে সেটাই নির্ধারণ করুন।
হাত-পা : হাত ও পা সুন্দর করে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয়ই কম নয়। ট্রিটমেন্ট হিসেবে করাতে পারেন ফুট ম্যাসাজ। ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর। হাতের নখে বিভিন্ন রঙের নেইল পলিশ, ব্রাশ, অ্যাক্রিলিক পেইন্ট, লেইস ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। নখের নকশার ওপর স্টোন, গ্গি্নটারস প্রভৃতি উপকরণ লাগানো যায়।
আইব্রু থ্রেডিং : মুখের উদ্দীপ্ত অঙ্গ হলো চোখ। চোখকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য আইব্রু থ্রেডিংয়ের বিকল্প নেই। বিয়ের ৩ দিন আগে বিউটি স্যালুনে গিয়ে আইব্রো থ্রেডিং করিয়ে নিতে পারেন।
ওয়াক্সিং : শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে ওয়াক্সিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। কষ্টসাধ্য পদ্ধতি হওয়ায় ঘরে বসে নিজে নিজে না করে ভালো কোনো স্যালুন ও অভিজ্ঞ কারও কাছে করানোই উত্তম। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিমের সাহায্যে ওয়াক্সিং করিয়ে নিন।
চুল : আপনার ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যকে নিমিষেই বদলে দিতে পারে মানানসই হেয়ারস্টাইল। চুলের পরিচর্যা ও স্টাইলিংয়ে কালার, পার্মিং, রিবন্ডিং, ডিপ কন্ডিশনার, বিভিন্ন হেয়ার কাট এখন ইন-ট্রেন্ড। চুল কাটাতে চাইলে বিয়ের ৬ দিন আগে স্যালুন ও পার্লারে বুকিং দেওয়া ভালো। চুল রিবন্ডিং, কার্ল বা পার্ম করতে চাইলে তা বিয়ের ১০ দিন আগে থেকে করে নেওয়া ভালো।
বিয়ে : শাড়ির রঙ থেকে শুরু করে মেকআপ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল, গাঢ় রঙের ব্যবহারই বেশি করা হয়। ইদানীং আবার লাল কাতান শাড়ির চল ফিরে এসেছে। এখানে কনেকে লাল কাতানের সঙ্গে জারদৌসি কাজের লাল ওড়না পরানো হচ্ছে। বিয়েতে ওড়না পরাতে হয় বলে চুলে খোঁপা করাই ভালো। এতে যেমন সুন্দর দেখায় তেমনি চুল এলোমেলো হওয়ার হাত থেকে বাঁচা যায়। বিয়েতে কনের বেস মেকআপ বেশ গাঢ় হয়। এখানে চোখের মেকআপে আইলাইনার, আইল্যাশ ও মাশকারা লাগানো হয়েছে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে সোনালি আর গাঢ় বাদামি আইশ্যাডো, লাল ব্ল্যাশন আর গাঢ় লাল লিপস্টিক দেওয়া হয়েছে। গাঢ় মেকআপের মধ্যেও উজ্জ্বলতা আনার জন্য গোল্ডেন শিমার দেওয়া হয়েছে লাইন আর ব্ল্যাশনের ওপর। হাতে মেহেদি ও শাড়ির সঙ্গে রঙ মিলিয়ে হ্যান্ডপেইন্ট করা হয়েছে। কনেকে পরানো সব গহনাই বেশ বড়। কপালে বড় টিকলী টায়রার জন্য কনেকে টিপ পরানো হয়নি। এছাড়া কানে যেহেতু বড় ঝুলানো দুল আছে, তাই ছোট নাকফুল পরেছে কনে। গলায় হাঁসুলি হারের সঙ্গে সীতাহার বিয়ের সাজকে আরও জমকালো করেছে। হাত ভরে সোনার বালার সঙ্গে কাচের চুড়ি আর আংটি বিয়ের সাজে এনেছে পূর্ণতা।
বরপক্ষ ও কনেপক্ষ
বিয়ে মানেই সাজ সাজ ভাব। এ আয়োজন বরপক্ষ ও কনেপক্ষ উভয়ের জন্যই আনন্দের। কে কিভাবে সাজবেন, তা নিয়ে চলে নানা জল্পনা। পার্টিসাজ নিয়ে লিখেছেন হেয়ারোবিক্সের তানজিমা শারমিন মিউনি
মেকআপ মানে মাস্ক পরা নয়। মেকআপ মানে চেহারার দোষ-ত্রুটি ঢাকা এবং প্লাস পয়েন্টগুলো ফুটিয়ে তোলা। বিয়ের সাজের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো বিয়েতে অনেক পর্ব থাকে। সব পর্বের জন্য আলাদা সাজ রয়েছে, বিয়ের দিন সবাই একটু জমকালো সাজতে পছন্দ করে। বেইস মেকআপ গাঢ় দিতে হবে। পোশাকের ওপর নির্ভর করে আপনার সাজ। সাধারণত বিয়ের পোশাক গাঢ় রঙের হয়। ফাউন্ডেশন লাগিয়ে পানিতে পাফ ভিজিয়ে পুরো মুখে ভালো করে ব্লেন্ড করুন।
মেকআপ সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা
ডার্ক সার্কেল : অনেকের ত্বকে ডার্ক সার্কেল বা কালো দাগ থাকে। এসব দাগ আড়াল করতে ত্বকের রঙের চেয়ে একটোন গাঢ় ফাউন্ডেশন। প্যানকেফ প্যানিস্টিক, পাউডার বেইস হিসেবে লাগান। পিঙ্ক এবং গ্রে শ্যাডো ডার্কনেস কমায়। সে ক্ষেত্রে ম্যাট আইশ্যাডো লাগালে মেকআপ হবে দীর্ঘস্থায়ী।
কনসিলার : কনসিলার ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লাগাতে ভুলবেন না এবং খুব ভালোভাবে কনসিলার ব্লেন্ড করুন যেন তা আপনার স্কিনের সঙ্গে মিশে যায়। স্কিনের স্পট ঢাকার জন্য কনসিলার ব্যবহার করা হয়।
আইশ্যাডো : আইশ্যাডো আপনার চোখ দুটিকে দেয় গভীরতা। চোখের ভেতরের কোণ থেকে শুরু করে ভ্রূর ধার ঘেঁষে বাইরের কোণ পর্যন্ত আইশ্যাডো লাগানোর পরিধি।
মাশকারা : মাশকারা চোখের পাপড়িগুলোকে ঘন করে এক বিশেষ লুক এনে দেয়। মাশকারা লাগাতে শুরু করুন চোখের উপরের পাতার নিচ থেকে। নিচের অংশে লাগানোর সময় সতর্ক থাকুন, যেন স্কিনে লেগে না যায়। মাশকারার দুটি লেয়ার শুকানোর জন্য সময় দিন।
লিপলাইনার : লিপস্টিকের ম্যাচিং লাইনার দিয়ে কিংবা লিপস্টিকের কালারের চেয়ে হালকা কালারের লাইনার দিয়ে লিপ লাইন করুন।
লিপস্টিক : লিপস্টিক লাগানো শুরু করুন ঠোঁটের মাঝখান থেকে। আস্তে আস্তে লিপ ব্রাশের সাহায্যে লিপ কালার ছড়িয়ে দিন সম্পূর্ণ ঠোঁটে। যদি আই মেকআপ হেভি হয় তাহলে ঠোঁটে ন্যাচারাল লুক রাখলে মেকআপ ব্যালান্ডস দেখাবে।
লিপগ্গ্নস : লিপগ্গ্নস আপনার ঠোঁটকে এনে দেবে ম্যাট্রাকটিভ সিমার অ্যান্ড সাইন। পুরো ঠোঁটে লিপগ্গ্নস না লাগিয়ে শুধু মাঝখানে লাগান।
ব্লাশঅন : ব্লাশঅন লাগাতে হয় গালের উঁচু জায়গা থেকে কানের কাছাকাছি পর্যন্ত। এমনভাবে লাগাতে হবে যেন মনে হয় একটি রঙের আভা। ব্লাশঅন থুঁতনি ও কপালে হালকা বুলিয়ে নিতে হবে। চিককেনের বরাবর লাগান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন