শাইনিং কালার রিবন্ডিং: সাধারণ রিবন্ডিংয়ের সঙ্গে এর পার্থক্য হচ্ছে এটি চুলকে স্ট্রেইট করার পাশাপাশি চুল কালারও করে। চুলে আসে বাড়তি উজ্জ্বলতা। সব ধরনের চুলেই এ বিরন্ডিং করা যায়। তবে চুলে কালার হেনা করা থাকলে রিবন্ডিং করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে কালার বা হেনা করার ছয় মাস পর করা যাবে। চুলের ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে রিবন্ডিং করতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। খরচ চুলভেদে আট থেকে ২০ হাজার টাকা।
হেয়ার স্মুদিং: রিবন্ডিং করলে চুলে একটা ফ্ল্যাট ভাব আসে। ন্যাচারাল স্ট্রেইট লুক চাইলে চুলে হেয়ার স্মুদিং করতে পারেন। রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ চুলকে সিল্কি ও প্রাকৃতিক সোজা লুক দেয় হেয়ার স্মুদিং। এর বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি কালার বা হেনা করা চুলেও করা যায়। এতে চুলে অতিরিক্ত ফ্ল্যাট ও কৃত্রিম ভাব থাকে না। হেয়ার স্মুদিং যেকোনো চুলেই করা যায়। এর স্থায়িত্ব এক বছর। খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
সফট পার্ম: যাঁদের চুল খুব পাতলা, মাথায় চুল কম, তাঁরা রিবন্ডিং বা স্মুদিং করলে চুল আরো কম দেখায়। এমন চুলের জন্য সফট পার্ম। পাতলা চুলে ভলিউম আনে সফট পার্ম। এতে চুলে হালকা ফোলা ভাব আসে এবং একই সঙ্গে চুল স্ট্রেইট দেখায়। চুলে কালার বা হেনা করা থাকলে সফট পার্ম করার জন্য ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। এর স্থায়িত্বকাল ছয় থেকে আট মাস। খরচ পড়বে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। খুব বেশি কোঁকড়া চুলে সফট পার্ম করা যায় না।
রুট রিবন্ডিং: রিবন্ডিংয়ের স্থায়িত্বকাল সাধারণত এক বছর। অর্থাৎ রিবন্ডিং চুল সব সময় একই রকম থাকবে। তবে নতুন করে যে চুল গজাবে, সে অংশ আবার রিবন্ডিং করে নিতে হবে। একে বলে রুট রিবন্ডিং। একই পদ্ধতিতে রুট স্মুদিংও করা যায়। খরচও কম, চুলের ধরনভেদে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
স্ট্রেইট চুলের যত্ন: চুল স্ট্রেইট করার তিন দিন পর অবশ্যই একটা হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। এরপর প্রতি মাসে একবার হেয়ার স্পা, প্রো ফেরাটিন ট্রিটমেন্ট অথবা ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করা উচিত। আর বাড়িতে সপ্তাহে এক দিন হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করলে চুল ভালো থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন