বিদেশ যেতে ঋণ


আবেদন করবেন যেভাবে
ভিসা পাওয়ার পর প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ঋণের আবেদন করতে হয় এর সঙ্গে কিছু কাগজপত্রও জমা দিতে হয় লাগবে স্বহস্তে লিখিত অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী, আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের দুই কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান স্থায়ী ঠিকানাসহ পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি ছাড়া আবেদনকারীর সব আয় নিযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে এই ব্যাংকে পাঠানো হবে মর্মে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা

লাগবে আরো কিছু কাগজ
আপনি যে ভিসায় বিদেশ যাচ্ছেন সেটি সঠিক কি না, তাও ব্যাংক থেকে যাচাই করা হয় তাই ঋণ পেতে ভিসাসংক্রান্ত কিছু কাগজও দেখাতে হয়, যেমন- দূতাবাস থেকে ইস্যু করা ভিসা বা লেবার কন্ট্রাক্ট, শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট, বিএমইটি থেকে পাওয়া স্মার্ট কার্ড, ম্যানপাওয়ার ক্লিয়ারেন্স কার্ড, প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট, বিমানের টিকিট, পাসপোর্ট ইত্যাদি

লাগবে না জামানত
ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কোনো জামানত রাখতে হয় না শুধু দুজন সক্ষম ব্যক্তি জামিনদার হিসেবে দেখাতে হয় আর ঋণের টাকা জমা দেওয়া শুরু হয় বিদেশ যাওয়ার দুই মাস পর থেকে ঋণ শোধ করা যাবে দুই থেকে তিন বছরেও আর ঋণের সুদের হারও কম, শতকরা টাকা, যা অন্য ব্যাংকে সার্ভিস চার্জসহ প্রায় দ্বিগুণ

ঋণ পেতে দুই দিন
আবেদনের পর দুই দিনের মধ্যেই ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন অনেক সময় তিন ঘণ্টার মধ্যেও ঋণ দেওয়া হয় এটি নির্ভর করে গ্রাহকের চাহিদা এবং ভিসা সঠিক আছে কি না তা যাচাইয়ের ওপর

কত টাকা পাবেন
২০০৮ সালে সরকার বিভিন্ন দেশে যাওয়ার খরচ নির্ধারণ করে দেয় ঋণ দেওয়ার সময় সরকার নির্ধারিত খরচ এবং চাহিদার ওপর নির্ভর করে ৪০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হবে

যোগাযোগ করবেন কোথায়
ঋণের যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন ঠিকানায়- ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন, ঢাকা ফোন : ৮৩২২৮৭৩, ৮৩২১৮৭৮

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন