ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক
শারীরিক মিলন৷
আবার শারীরিক
প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷
কিন্তু আপনি
জানেন কি
শারীরিক চাহিদা
বা ভালোবাসা
প্রকাশের দিক
ছাড়াও এর
অনেক গুণ
আছে যার
ফলে আপনার
ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে
পারে:
* ভালো ব্যায়াম : শারীরিক মিলনের সময়ে
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
যেভাবে সঞ্চালিত
হয় তার
মাধ্যমে ব্যয়াম
কার্য খুব
ভালো ভাবে
সম্পাদিত হয়৷
এর দ্বারা
প্রচুর ক্যালোরি
খরচ হয়,
ফলে কোলেস্টেরলের
মাত্রা কম
হয়, রক্তপ্রবাহ
ভালো হয়,
শারীরিক মিলন
কার্যে আপনি
30 মিনিট লিপ্ত
থাকলে আপনার
85 ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক
সপ্তাহ নিয়মিত
হাঁটা-চলা
করলে যে
পরিমান ক্যালোরি
খরচ হয়,
সপ্তাহে তিন
দিন নিয়মিত
ভাবে শারীরিক
মিলনে লিপ্ত
হলে আপনার
সেই পরিমান
ক্যালোরি খরচ
হবে৷ সারা
বছর নিয়মিত
রূপে শারীরিক
মিলনে লিপ্ত
হতে পারলে
75 মাইল জগিং
করার সমান
ক্যালোরি আপনার
শরীর থেকে
নির্গত হবে৷
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায় : রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতার
ক্ষেত্রে অর্থাত
আমাদের ইমিয়্যুন
সিস্টেম ঠিক
রাখতে সাহায্য
করে আমদের
শারীরিক মিলন
প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি
থেরাপির মত
কাজ করে,
এর মাধ্যমে
পাচন কার্য
ঠিক হওয়ার
ফলে রোগ
প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয়৷
* জীবন কাল বাড়ে : নিয়মিত সেক্স্যুয়াল
অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর
মাধ্যমে শরীরের
সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং
সব তন্ত্র
খুব ভালো
ভাবে কাজ
করে৷ কারণ
শারীরিক কার্যকলাপ
শরীরের বিভিন্ন
কোষের মধ্যে
অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন
অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷
একদিকে যেখানে
সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের
মাত্রা সঠিক
থাকে তেমনি
কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে
থাকে৷ সপ্তাহের
তিন বার
বা তার
থেকে বেশী
বার শারীরিক
মিলন হার্টঅ্যাটাকের
সম্ভাবনা কমিয়ে
দেয়৷
* ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
: বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে
শারীরিক মিলনের
ফলে মাথা
এবং হাড়ের
জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া
যায়৷ ওর্গাজমের
আগে অক্সিটোসিন
হর্মোনের স্তর
সামান্য থেকে
পাঁচ গুন
বেঁড়ে যাওয়ায়
এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিংসৃত হতে থাকার
ফলে মাথা
ব্যাথা, মাইগ্রেন
আর আর্থারাইটিসএর
ব্যাথা থেকে
আরাম পাওয়া
যায়৷ তাই
ব্যাথা কমানোর
ওষুধ না
খেয়ে শারীরিক
মিলনের আনন্দ
উপভোগ করুন
আর ব্যাথা
থেকে নিষ্কৃতি
পান৷
* পিরিয়ডের সময় ব্যাথা
কম হয়
: যে সব
মহিলাদের সেক্স্যুয়াল
লাইফ খুব
ভালো হয়
তাদের পিরিয়ডের
ক্ষেত্রে সমস্যা
কম হয়৷
সাধারণতঃ পিরিয়ডের
সময় মহিলাদের
খুব বেশী
ব্যাথা হযে
থাকে৷ যাদের
সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা
থাকে না
তাদের এই
সময়ে ব্যাথার
অনুভুতি কম
হয়৷ আর
শরীরিক মিলনের
দিক ঠিক
থাকলে পিরিয়ডের
আগে মহিলাদের
মধ্যে অনেক
সময় যে
সমস্যা দেখা
যায় তাও
থাকে না৷
* মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি : মানসিক
প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত
শারীরিক মিলনের
অভ্যাস সবথেকে
ভালো৷ কারণ
শারীরিক মিলনের
ফলে মন
উত্ফুল্ল থাকে
ফলে মানসিক
অশান্তি কম
হয়৷
ভালোবাসা বাড়ে : শারীরিক মিলনের আকর্ষনের
ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে
দূরত্ব কম
হওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে মনে
খুশী সঞ্চারিত
হয়৷ মনের
উদাসিনতা দূর
করতে এই
কার্যকারীতা ভীষণ জরূরী৷ মানসিক দিক
থেকে বিরক্তির
নানা কারণ
শারীরিক মিলনের
ফলে দূর
হয়ে যায়৷
এই সান্নিধ্যের
ফলে সঙ্গীর
সঙ্গে সম্পর্ক
ভালো হয়
এবং দুজনের
মধ্যে ভালোবাসা
বাড়ে৷ যে
স্বামী-স্ত্রীর
মধ্যে শারীরিক
সম্পর্ক উন্নতমানের
তারা তাদের
সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে
তার সমাধান
একসঙ্গে করতে
পারেন৷
* কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে : শারীরিক
মিলনের সময়
হরমোন নিঃসরণ
হয় তাই
মন শান্ত
থাকে আর
নিরন্তর কাজের
ক্ষমতা বাড়তে
থাকে৷ নিয়মিত
ভাবে শারীরিক
মিলনের ফলে
ব্যক্তির যৌবন
অনেক দিন
পর্যন্ত বর্তমান
থাকে৷ এর
মাধ্যমে ফিটনেস
লেবেল বাড়ে৷
শারীরিক মিলনের
ফলে ব্যক্তি
সারাদিন স্ফুর্তি
অনুভব করে৷
সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব
দেখা যায়৷
এর দ্বারা
সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা
রোগের হাত
থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়৷
* ভালো ঘুম হয় : শারীরিক মিলনের
ফলে অক্সিটোসিন
হরমোন রিলিজ
হয়, ফলে
মিলনের পরে
ঘুমও খুব
ভালো হয়৷
তাই যাদের
ঘুমের ক্ষেত্রে
কোন অসুবিধা
আছে তারা
অতি অবশ্যই
এই পদ্ধতি
অবলম্বন করে
দেখতে পারেন৷
* আত্মবিশ্বাস বাড়ে : শারীরিক
মিনলের ফলে
ব্যক্তির মনে
স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷
তার ভেতর
কার সন্তুষ্টি
তার মানসিক
প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান
বাড়িয়ে তোলে৷
* ওজন কমে : শারীরিক মিলনের ফলে
প্রচুর পরিমান
ক্যালোরি কম
হয় তার
ফলে ব্যক্তির
ওজন কম
হয়৷ নিয়মিত
ভাবে শারীরিক
মিলনের ফলে
পেটের স্থূলতা
কম হয়,
আর মাংসপেশীতে
জড়তা কম
দেখা যায়৷
* সৌন্দর্য্য বাড়ে : শারীরিক
মিলন কালে
হরমোন নিঃসরনের
ফলে রক্তপ্রবাহের
মাত্রা বেড়ে
যাওয়াতে তার
প্রভাব পড়ে
ত্বকের ওপরে৷
তার ফলে
সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা
শরীরের মাদকতা
আপনার মধ্যে
গ্লো আনে৷
শারীরিক মিলন
কালে মহিলাদের
শরীর থেকে
এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে,
যার দ্বারা
তাদের চুল
এবং ত্বক
আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷
* ভালো ত্বক : শারীরিক মিলনের সময়
সারা শরীরে
একপ্রকার ম্যাসাজ
চলে তার
দ্বারা রিল্যাক্সেশনের
ফলে শরীরে
কোন প্রকার
দাগ থাকে
না বা
তা ধীরে
ধীরে লুপ্ত
হতে থাকে৷
* প্রোস্টেটে ক্যান্সার প্রবণতা
কম হয়
: নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷
* হাপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি
: শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যাণ্টি হিস্টামাইন
রূপে দেখা
হয়৷ এর
দ্বারা নাক
বন্ধ থাকলে
তা খুলে
যায়৷ আর
যাদের ফুসফুসের
সমস্যা বা
জ্বর হয়
তাদের সমস্যার
সমাধানও হয়ে
থাকে৷
* কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে
উন্নতি : মহিলারা
শারীরিক মিলনের
সময় উত্তেজিত
হয়ে উঠলে
তাদের হার্টের
গতি বেড়ে
যায়, ফলে
তাদের কার্ডিওভাস্কুলার
এর সমস্যার
সমাধান হয়ে
থাকে৷
* বিস্বস্ত তা বাড়ে
: স্বামী-স্ত্রীর
মধ্যে শারীরিক
মিলনের বোঝা
পড়া ঠিক
থাকলে তার
একে ওপরকে
কখনও ঠকায়
না৷ তাদের
ঘনিষ্ঠতা তাদের
এমন কাজ
করতে দেয়
না৷
* রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় : শারীরিক
মিলনের সময়
ব্যক্তির উত্তেজনা
বৃদ্ধি পাওয়ার
ফলে তার
সারা শরীরে
রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর
ফলে সারা
শরীরের প্রতিটি
কোষে সঠিক
মাত্রায় অক্সিজেন
পৌঁছায়৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন