দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে ঈদের সময় এখন শুধু মানুষ কাপড়চোপড়
কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে না, নিত্যনতুন বিষয়ের প্রতিও ঝুঁকে পড়ে। উত্সবে ঘরের
পরিবেশ আনন্দময় করে তুলতে হলে ঘরের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ঘর সাজানোতেও
নজর দিতে হবে। সম্ভব হলে পুরো বাড়ি নতুন করে রং করে; আসবাবগুলো নতুন করে
বার্নিশ করে; ফুলের টবগুলোতে রং করিয়ে অর্থাত্ সব পুরোনো জিনিসে নতুন রূপ
দেওয়া যায় এই উত্সবমুখর ঈদে। ঈদে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ ঘর সাজানোর
প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন সাজেদুল ইসলাম শুভ্র
ঈদ উত্সব উপলক্ষে মানুষ নতুনত্বের আকাঙ্ক্ষায় ঘরের পুনর্বিন্যাস করে থাকে।
যদি কেউ ঘরের পুনর্বিন্যাস করতে চায়, তাকে ভারসাম্য, ছন্দ, প্রাধান্য,
মিল, অনুপাত—এই পাঁচটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রেখেই ঘরের আসবাব পুনর্বিন্যাস
করতে হবে। এমনভাবে আসবাব গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন ঘরের চারপাশের সৌন্দর্য
মানুষের দষ্টি আকর্ষণ করে।’ ঈদের অন্দর মহলের পরিচর্যা নিয়ে ফারজানা’স
ব্লিসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার ফারজানা গাজী বলেন, ‘সাজগোজের শুরুটা
ড্রইংরুম থেকে করলেই ভালো। এটা বাঙালির খুব পুরোনো স্বভাব। ঘরের অন্দর
যেমনই হোক, বসার ঘরটা খাসা হওয়া চাই। বসার ঘরের জন্য প্রথমেই নজর দিন দেয়াল
আর আলোকব্যবস্থার উপরে। দেয়ালটা যে রঙের আছে তার সাথে মানানসই সোফা কাভার,
কুশন কাভার, কার্পেট—এগুলো থাকা উচিত। ওয়াল ম্যাট, ফ্রেমে বাঁধানো ছবি
এগুলোও দেয়ালের রঙের সাথে মিল রেখে করা উচিত। ছবির ফ্রেমগুলো একটা
নির্দিষ্ট মাপে এক দেয়ালে ঝুলান। বিভিন্ন মাপের বিভিন্ন দেয়ালে ঝুলালে ভালো
লাগবে। আর ফ্রেমগুলো যদি কাঠের হয় তাহলে সেটা যেকোনো দেয়ালের জন্যই
মানানসই। একটা সময় দেয়ালজুড়ে ম্যাট লাগানোর প্রচলন থাকলেও এখন আর সেটা নেই।
এখন দেয়ালে ডিসটেম্পারই মানানসই। তবে যদি কোনো দেয়ালের ডিসটেম্পারের
অবস্থা খারাপ হয়ে যায় তাহলে সেখানে এক টুকরা নকশি কাঁথা কিংবা ডিজাইন করা
কোনো কাপড় ঝুলিয়ে দিলে খারাপ লাগবে না। এ ছাড়া আরও যা করতে পারেন— বিস্তারিত

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন