প্রত্যেকের জীবনেই জমি কিনে
বাড়ি করার একটা স্বপ্ন
থাকে। তবে
জমি কেনার সময় কয়েকটা
ব্যাপারে ক্রেতাদের সজাগ থাকতে হবে,
যাতে পরবর্তীকালে কোন ঝামেলাতে না
জড়িয়ে পড়তে হয়।
• ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ানোর আগে জেনে নিতে হবে, যে জমিটা কেনা হচ্ছে তার কোন আইনি সমস্যা আছে কিনা।
• ক্রেতা যার থেকে কিনছে
সে ওই জমিটা বিক্রি
করতে পারবে কিনা? সেরকম
হলে উকিলের পরামর্শ নিতে
হবে, রেজিস্ট্রি করার আগে দেখে
নিতে হবে জমিটা এক
না অংশীদারি মালিকানার অন্তর্গত।
• জমি রেজিস্ট্রেসনের সময় ভুললে চলবে
না যে জমিটা কেনা
হচ্ছে সেটা কোন বড়
সমিতি, বড় কন্সট্রাকশন, বা
সরকারি জমির আওতার অন্তর্গত
কি না? সেটা মুচলেকাতে
লিখিয়ে নিতে হবে ।
• জমির টাকা হস্তান্তর করার
আগে দেখে নিতে হবে
জমিটার মালিক জমির সমস্ত
ট্যাক্স, ও অন্যান্য বিল
মিটিয়েছে কিনা। সরকারি দপ্তর
বা মিনিউসিপালিটিতে খোঁজ নিয়ে তা
জেনে নিতে হবে ।
• অনেক সময় দেখা যায়,
জমির মালিক জমিটা মরডগেজ
দিয়ে লোন নিয়েছে। কাজেই
জমি রেজিস্ট্রেসনের আগে এটাও দেখার
বিষয় যে জমির মালিকের
লোনের টাকা পরিশোধ হয়েছে
কিনা?
• জমি
রেজিস্ট্রেসনের আগে দেখে নিতে
হবে যে, যে পরিমাণ
জমির টাকা দেওয়া হচ্ছে
সেই পরিমাপের জমি ক্রেতা পাচ্ছে
কিনা? দরকার হলে জমিটি
সরকারি কর্মচারী দিয়ে মেপে নিতে
হবে ।
• আগের সমস্ত অর্থনৈতিক ও
আইনি নথি ঠিক থাকলে,
একটা চুক্তিনামা করিয়ে নিতে হবে,
যাতে ওই জমির মালিক
পরে জমির দাম বৃদ্ধি,
বা অন্য কোন ক্রেতাকে
বেশি মূল্যে জমিটি বিক্রি
না করতে পারে ।
• একটি ৫০টাকার সরকারি চুক্তিপত্র কিনে
তাতে জমিটির মূল্য, আগাম
দেওয়া টাকার পরিমান, সময়
সবকিছু লিখে নিতে হবে,
যাতে কোন পক্ষই আইনি
জটিলাতায় না পরে ।
খুব ভাল হয় যদি
এই কাজটি করার সময়
দু'পক্ষের উকিল ও
দু'জন সাক্ষী থাকে।
পাকেচক্রে কোন পক্ষ সমস্যার
সম্মুখীন হলে যাতে অপর
পক্ষের বিরূদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া
যায় । রেজিস্ট্রি
হল জমির হস্তান্তারের দুপক্ষেরই
প্রমাণ পত্র ।
অভয় দিয়ে বলা জেতে
পারে উপরিউক্ত বিষয়গুলির ওপর দৃষ্টিপাত করে
জমি কিনলে জমির পেছনে
টাকা বিনিয়োগ স্বার্থক হবে, ও আইনি
কোন সমস্যার মুখেও পরতে হবে
না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন