গায়ে হলুদের গহনা

এক সময় ছিল যখন হলুদের দিন মানুষ কোনো গহনাই পরত না। কিন্তু বর্তমানে সবাই হলুদের দিনেও গহনা পরেন। গায়ে হলুদের দিন মূলত তাজা ফুলের গহনাই কনেকে স্যুট করে যেমন_ গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল দিয়ে বিভিন্ন নকশার গায়ে হলুদের গহনা তৈরি করা হয়। তবে এখন অনেকে ফুলের গহনা ছাড়াও বিভিন্ন গহনা পরে থাকেন। এ বিষয়ে বিউটি এক্সপার্ট কানিজ আলমাস খান বলেন, হলুদের দিন সাধারণ ফুলের গহনাই ভালো লাগে। তবে কেউ যদি ফুলের গহনা পরতে না চান, তাহলে সে ক্ষেত্রে কাপড়ের তৈরি ফুল আর তার সঙ্গে স্টোন বসিয়ে আকর্ষণীয় নকশার গহনা পাওয়া যায় বাজারে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে গহনা তৈরি করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের পুঁতি যুক্ত করে এটা তৈরি করা হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন নকশার সিঁথিপাটি, হাতের বালা, বাজুবন্ধ ও মালার মতো এ ধরনের গহনা পরলে একটু ডিফারেন্ট লুক লাগবে।

 যেহেতু বিয়ে, তাই বিয়েতে একটু ডিফারেন্ট লুক থাকলে ভালো লাগে। এ ছাড়া আজকাল অনেকেই মাটির গহনা পরে থাকেন। এটিও একটি ফ্যাশন বলা যেতে পারে। বর্তমানে মাটির গহনাও খুব জনপ্রিয়। এ ছাড়া কয়েকদিন আগেই ঢাকার ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারিতে 'আর্ট অব ওয়েডিং' শিরোনামে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে শঙ্খ। যেখানে বিয়ের হলুদ ও মেহেদির আলপনা থেকে শুরু করে গায়ে হলুদের গহনা, ফুল সাজানো সব উপকরণ ছিল। সেখানে বিভিন্ন নকশার গহনা ছিল। দাম ছিল ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকারও বেশি। শাড়ি বা যে কোনো পোশাকের সঙ্গে গহনা পরলে বাঙালি নারীর লুকটাই পাল্টে যায়। গহনা ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে। গহনা বাঙালি নারীর গৌরব।

সতর্কতা :ফুলে অনেকের অ্যালার্জি থাকে। সে ক্ষেত্রে কাপড়ের ফুলের সঙ্গে স্টোন বা পুঁতি দিয়ে তৈরি করা আর্টিফিসিয়াল গহনা পরতে পারেন। এতে দেখতে অন্যরকম লাগবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন