হৃদয়াবেগের ক্ষেত্রে ভালোবাসা
জানানোর রীতি
সঙ্গীদ্বয়ের সাংস্কৃতিক পটভূমিকায় ব্যক্তিগত ইন্দ্রিয়ানুভূতি,
মানসিক প্রবণতা
এবং সেই
বিশেষ মুহূর্তের
মনোভাব অবস্থার
ওপর নির্ভর
করে।
বলাবাহুল্য, তার প্রকাশভঙ্গি অসংখ্যরকম হতে
পারে সে
প্রকাশভঙ্গি একজনের কাছে এক সময়ে
উদ্দীপনাময় সেই প্রকাশভঙ্গিই অন্য সময়ে,
অন্য একজনের
কাছে কুৎসিত বলে
মনে হতে
পারে।
কখনো কখনো
দীর্ঘ কাম
ক্রীড়ার তুলনায়
সামান্য একটা
কথা, একটা
ভঙ্গি, একটা
ইঙ্গিতপূর্ণ রসালো মন্তব্য বা সুগন্ধ
অনেক বেশি
কার্যকরী হয়
আচরণের বাধা-ধরা রীতি
পদ্ধতি বা
নিয়ম-কানুন
আগে থাকতে
বলা সম্ভবও
নয়,বাঞ্ছনীয়ও
নয়, মানব
সম্পর্কের এই অন্তরঙ্গ ব্যাপারে ব্যক্তিগত
স্বতঃস্ফূর্তি বা নৈপুণ্য এবং সেই
সঙ্গে পারস্পরিক
অনুভূতি ও
অভিযোজনের ওপরই প্রধানত নির্ভর করা
উচিত সূক্ষ্ম
আবেগপ্রবণ ভঙ্গি, প্রবল যৌনলিপ্সা জাগাবার
পক্ষে যথেষ্ট,
তবে যৌনমিলনের
আগে অনেক
সময়ে প্রত্যক্ষ
শারীরিক উদ্দীপনা
সৃষ্টি করাটা
বাঞ্ছনীয়।
প্রত্যক্ষ শারীরিক উদ্দীপনা বলতে বোঝায়
স্পর্শ, চুম্বন,
দংশন, লেহন,
আলিঙ্গন, মর্দন,
ঘর্ষণ।
পুরুষের কামস্থান
মোটামুটি একটা
জায়গায় অবস্থিত
কিন্তু নারীর
কামস্থান সারা
শরীর জুড়ে
বিসতৃত ও
ছড়ানো-ছিটানো। অনুকূল
মানসিক অবস্থায়
দেহের যে
কোনো অংশের
স্পর্শন ঘটলেই
যৌন উদ্দীপনা
জাগরিত হয়,
ম্যান্টিগাজা যৌন প্রেমকে, উচ্চতর স্পর্শেন্দ্রিয়ের
চাঞ্চল্য বলে
অভিহিত করেছেন
ঠোঁট, ঘাড়,
কাঁধ, গলা,
কান, কানের
লতি, কানের
নিম্নাংশ, স্তন, স্তন বোঁটা, এরিওলা,
স্তন ভাঁজ,
স্তনের চূড়া
এগুলো বিশেষভাবে
স্পর্শকাতর এবং এসব অঞ্চলে হাত
বোলালে বা
চুমো দিলে,
হাল্কা কামড়
দিলে, লেহন
করলে অনেক
সময় প্রবল
যৌন উদ্দীপনা
জাগে।
বিবাহের গোড়ার
দিকে জননেন্দ্রিয়ের
প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের চেয়ে সাধারণভাবে দৈহিক
সংস্পর্শের দ্বারাই নারীরা বেশি উত্তেজিত
হয়ে ওঠে
স্বাভাবিক লজ্জাশীলতা ও সংকোচ ক্রমে
ক্রমে কেটে
যাওয়ার পরই
জনন প্রদেশের
প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে যৌন উদ্দীপনার উদ্রেক
করে।
পুরুষের যৌন আচরণ
পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন পুরুষ একেক আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি পছন্দ করে আর অন্যরা হয়তো তা করে না। একজন পুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবে তাই তার কাছে সঠিক হওয়া উচিত। অন্য পুরুষরা যে রকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম যৌন আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। ধর্ষণ আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা থাকে। তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ খাড়া হওয়ার ব্যাপারটা একইভাবে হয় না এবং কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময় কেন বের হয় না। অথচ হস্তমৈথুনের সময় ঠিকই তা বের হয় ইত্যাদি। কতক পুরুষের পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে উত্থিত হলেও চরমসুখ বা যৌনসঙ্গীর সাথে চরমপুলক বা যৌন শিহরণ পেতে অসুবিধা হয়। কিন্তু যখন তিনি মাস্টারবেশন বা স্বমেহন করেন তখন কোনো সমস্যা থাকে না এর একটা মানসিক কারণ হতে পারে। তিনি যৌন আচরণকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখতে পারেন বা নারী বা যৌনসঙ্গী গর্ভবতী হয়ে যাবে এ রকমটি ভাবতে পারেন কিংবা যৌনবাহিত রোগ এড়িয়ে চলতে পারেন তিনি। আপনি যদি এ ব্যাপারে সহায়তা চান তবে মনোচিকিৎসক বা সেক্স থেরাপিস্টের সাথে সাক্ষাৎ করুন মনোচিকিৎসার দ্বারা এ সমস্যা ভালো করা সম্ভব। যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে যে উত্থিত লিঙ্গকে যৌন তৃপ্তি পাওয়া পর্যন্ত ধরে রাখা যাচ্ছে না এর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন-অসুস্থতা, ক্লান্তি, অবসন্নতা, মনোশারীরিক চাপ, সঙ্গিনী কর্তৃক মনোকষ্ট পাওয়া, অ্যালকোহল/মদ, ড্রাগ, ওষুধ সেবন ইত্যাদি। যৌন অতৃপ্তি বা অসন্তোষ এসব সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। মানসিক সমস্যাজনিত কারণটি সমাধানের জন্য মনোবিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তা ছাড়া পুরুষটিকে জানতে হবে ও শিখতে হবে যে, কীভাবে বীর্যস্খলনের সময়কে দীর্ঘ করা যায় এবং যৌন অনুভূতি বা শিহরণকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুরুষাঙ্গকে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে একেবারে উদ্দীপিত করে আবার যৌনপুলক নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করুন যাতে কিনা বীর্যস্খলিত হতে না পারে। এভাবে কয়েক দিনে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। নিজে চেষ্টা করুন ইচ্ছা শক্তি খাটিয়ে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য। পুরুষদের মাস্টারবেশনে পুরুষাঙ্গের ব্যবহার হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি এতেও পুরুষভেদে নানা রকমারিতা দেখা যায় অধিকাংশ পুরুষের বেলাতে এ স্বমেহনে পুরুষাঙ্গের মূল দেহকে ঘষা, ওপরে ধীরে ধীরে হাত বোলানো ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুরুষাঙ্গের অন্ডথলির ত্বক বা লিঙ্গ মণিকে সরাসরি উদ্দীপিত করে স্বমেহন এ ধরনের অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। একদল পুরুষাঙ্গকে সমগ্র হাত দিয়ে মুঠো করে ধরে ক্রমিক চাপ দিয়ে অতঃপর ছেড়ে দিয়ে সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে। পুরুষাঙ্গের উদ্দীপনা ক্রিয়ায় সবার দৃষ্টি এক জায়গায় থাকে না। কারও কারও পুরুষাঙ্গের ভেতরের দিকে লিঙ্গ মণি সংলগ্ন ফ্রেনুলাম অংশের দিকে ঝোঁক থাকে বেশি। খাত্না করানো হয়নি এদের অনেকে পুরুষাঙ্গ অগ্রস্থ লিঙ্গত্বক সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে সুখের সন্ধান চালান উদ্দীপনা ধরনেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। সূচনাতে হাল্কাভাবে স্পর্শ বা হাত বোলানো হয়, যা অনেকটা আদর সোহাগের মতো এটি মনে হাল্কা শিহরণ জাগায়, শিহরণ যতই তীব্র হতে থাকে, উত্তেজনার মাত্রাও বেড়ে আসে নিজে থেকেই যখন চরমপুলক আসন্ন মনে হয় তখন স্পর্শন বা ঘর্ষণ উদ্দীপনা সর্বাধিক ত্বরান্বিত হয়। যখন বীর্যস্খলন শুরু হয়ে যায় তখন উদ্দীপিতকরণে বিভিন্নতা দেখা যায় কেউ কেউ উদ্দীপনা কমিয়ে দেন। কেউ কেউ হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গকে শক্তভাবে চেপে ধরে থাকেন বাকিরা উদ্দীপনা তুলে নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন পুরুষ একেক আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি পছন্দ করে আর অন্যরা হয়তো তা করে না। একজন পুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবে তাই তার কাছে সঠিক হওয়া উচিত। অন্য পুরুষরা যে রকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম যৌন আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। ধর্ষণ আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা থাকে। তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ খাড়া হওয়ার ব্যাপারটা একইভাবে হয় না এবং কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময় কেন বের হয় না। অথচ হস্তমৈথুনের সময় ঠিকই তা বের হয় ইত্যাদি। কতক পুরুষের পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে উত্থিত হলেও চরমসুখ বা যৌনসঙ্গীর সাথে চরমপুলক বা যৌন শিহরণ পেতে অসুবিধা হয়। কিন্তু যখন তিনি মাস্টারবেশন বা স্বমেহন করেন তখন কোনো সমস্যা থাকে না এর একটা মানসিক কারণ হতে পারে। তিনি যৌন আচরণকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখতে পারেন বা নারী বা যৌনসঙ্গী গর্ভবতী হয়ে যাবে এ রকমটি ভাবতে পারেন কিংবা যৌনবাহিত রোগ এড়িয়ে চলতে পারেন তিনি। আপনি যদি এ ব্যাপারে সহায়তা চান তবে মনোচিকিৎসক বা সেক্স থেরাপিস্টের সাথে সাক্ষাৎ করুন মনোচিকিৎসার দ্বারা এ সমস্যা ভালো করা সম্ভব। যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে যে উত্থিত লিঙ্গকে যৌন তৃপ্তি পাওয়া পর্যন্ত ধরে রাখা যাচ্ছে না এর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন-অসুস্থতা, ক্লান্তি, অবসন্নতা, মনোশারীরিক চাপ, সঙ্গিনী কর্তৃক মনোকষ্ট পাওয়া, অ্যালকোহল/মদ, ড্রাগ, ওষুধ সেবন ইত্যাদি। যৌন অতৃপ্তি বা অসন্তোষ এসব সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। মানসিক সমস্যাজনিত কারণটি সমাধানের জন্য মনোবিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তা ছাড়া পুরুষটিকে জানতে হবে ও শিখতে হবে যে, কীভাবে বীর্যস্খলনের সময়কে দীর্ঘ করা যায় এবং যৌন অনুভূতি বা শিহরণকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুরুষাঙ্গকে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে একেবারে উদ্দীপিত করে আবার যৌনপুলক নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করুন যাতে কিনা বীর্যস্খলিত হতে না পারে। এভাবে কয়েক দিনে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। নিজে চেষ্টা করুন ইচ্ছা শক্তি খাটিয়ে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য। পুরুষদের মাস্টারবেশনে পুরুষাঙ্গের ব্যবহার হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি এতেও পুরুষভেদে নানা রকমারিতা দেখা যায় অধিকাংশ পুরুষের বেলাতে এ স্বমেহনে পুরুষাঙ্গের মূল দেহকে ঘষা, ওপরে ধীরে ধীরে হাত বোলানো ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুরুষাঙ্গের অন্ডথলির ত্বক বা লিঙ্গ মণিকে সরাসরি উদ্দীপিত করে স্বমেহন এ ধরনের অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। একদল পুরুষাঙ্গকে সমগ্র হাত দিয়ে মুঠো করে ধরে ক্রমিক চাপ দিয়ে অতঃপর ছেড়ে দিয়ে সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে। পুরুষাঙ্গের উদ্দীপনা ক্রিয়ায় সবার দৃষ্টি এক জায়গায় থাকে না। কারও কারও পুরুষাঙ্গের ভেতরের দিকে লিঙ্গ মণি সংলগ্ন ফ্রেনুলাম অংশের দিকে ঝোঁক থাকে বেশি। খাত্না করানো হয়নি এদের অনেকে পুরুষাঙ্গ অগ্রস্থ লিঙ্গত্বক সামনে-পেছনে আনা-নেয়া করে সুখের সন্ধান চালান উদ্দীপনা ধরনেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। সূচনাতে হাল্কাভাবে স্পর্শ বা হাত বোলানো হয়, যা অনেকটা আদর সোহাগের মতো এটি মনে হাল্কা শিহরণ জাগায়, শিহরণ যতই তীব্র হতে থাকে, উত্তেজনার মাত্রাও বেড়ে আসে নিজে থেকেই যখন চরমপুলক আসন্ন মনে হয় তখন স্পর্শন বা ঘর্ষণ উদ্দীপনা সর্বাধিক ত্বরান্বিত হয়। যখন বীর্যস্খলন শুরু হয়ে যায় তখন উদ্দীপিতকরণে বিভিন্নতা দেখা যায় কেউ কেউ উদ্দীপনা কমিয়ে দেন। কেউ কেউ হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গকে শক্তভাবে চেপে ধরে থাকেন বাকিরা উদ্দীপনা তুলে নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
যৌনসুখ ও যৌনবোধ
ঘনিষ্ঠ যৌন সম্পর্ক সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি। মার্কিন যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ শ্যালি জুথম্যানের মতে, ‘দাম্পত্য কলহ নিরসনে বিবাহিত যুগলের শারীরিক মিলন বড় ধরনের ভূমিকা রাখে’। স্বামী বা স্ত্রীর পরস্পরের যৌন চাহিদা মেটাতে অস্বীকার জানাতে থাকলে, বেডরুমের বাইরে, ক্ষোভ, অসন্তোষ, কলহের মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, একটি সুষ্ঠু যৌনজীবন যৌনসুখ লাভের পাশাপাশি দম্পতি যুগলের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। যেসব নারী সপ্তাহে অন্তত একবার যৌনমিলনে অভ্যস্ত তার হরমোন ইস্ট্রোজেন নিঃসরণের মাত্রা অনেক বেশি আর এর ফলে তার অস্থি সুদৃঢ় হয়, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে, এমনকি মানসিক অবসাদও দূর করে, লেখক বাকোস বলেছেন প্রেমিক যুগল পরস্পরের সান্নিধ্যে যত বেশি আসে তত বেশি উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। মিলনের সম্ভাবনা ততই বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে যৌনমিলনের ফলে মিলনের সম্ভাবনা সৃষ্টির উপাদান এর উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তাই যত বেশি মিলন ঘটবে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ তত বেশি বাড়বে। দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় আর্থিক অনটন ও সময়াভাবের পাশাপাশি সন্তান, ক্লান্তি, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন সামাজিকতা এসব মিলিয়ে দাম্পত্য জীবন যান্ত্রিক হয়ে পড়ে। এসব সত্ত্বেও দম্পতি যুগলের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ ধরে রাখতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। মার্কিন লেখক বাকোসের মতে যৌন জীবনে সবচেয়ে সক্রিয় জুটিরা সব সময় যে মিলনে অভ্যস্ত তা কিন্তু নয়। একটুখানি আদর, মিষ্টি সোহাগ মেশানো কথা, চিমটি কাটা-এসবও যৌন জীবনের অংশ। তাই মোট কতবার যৌনমিলন হলো সে সংখ্যা না গুনে বরং পরস্পর একান্ত সান্নিধ্যে কতটা সময় কাটালেন যৌন জীবনে সেটাই মুখ্য বিষয়। কোনো কোনো রাত কেটে যেতে পারে শুধু পাশাপাশি শুয়ে একটুখানি আদর সোহাগ বিনিময়ের মধ্য দিয়ে যৌনবোধ দেহের দিক দিয়ে প্রধানত স্নায়ুর সাথে সম্বন্ধযুক্ত। মানুষের দেহে স্নায়ুপ্রধান যে সমস্ত অঙ্গ আছে সেখানে যৌন অনুভূতি অতিশয় প্রবল। এই সমস্ত স্থান যৌনবোধের সাথে এমন ঘনিষ্ঠভাবে সম্বন্ধযুক্ত যে, এদের যৌনস্থল বা কামাঞ্চল বলা হয়।
ঘনিষ্ঠ যৌন সম্পর্ক সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি। মার্কিন যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ শ্যালি জুথম্যানের মতে, ‘দাম্পত্য কলহ নিরসনে বিবাহিত যুগলের শারীরিক মিলন বড় ধরনের ভূমিকা রাখে’। স্বামী বা স্ত্রীর পরস্পরের যৌন চাহিদা মেটাতে অস্বীকার জানাতে থাকলে, বেডরুমের বাইরে, ক্ষোভ, অসন্তোষ, কলহের মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, একটি সুষ্ঠু যৌনজীবন যৌনসুখ লাভের পাশাপাশি দম্পতি যুগলের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। যেসব নারী সপ্তাহে অন্তত একবার যৌনমিলনে অভ্যস্ত তার হরমোন ইস্ট্রোজেন নিঃসরণের মাত্রা অনেক বেশি আর এর ফলে তার অস্থি সুদৃঢ় হয়, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে, এমনকি মানসিক অবসাদও দূর করে, লেখক বাকোস বলেছেন প্রেমিক যুগল পরস্পরের সান্নিধ্যে যত বেশি আসে তত বেশি উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। মিলনের সম্ভাবনা ততই বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে যৌনমিলনের ফলে মিলনের সম্ভাবনা সৃষ্টির উপাদান এর উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তাই যত বেশি মিলন ঘটবে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ তত বেশি বাড়বে। দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় আর্থিক অনটন ও সময়াভাবের পাশাপাশি সন্তান, ক্লান্তি, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন সামাজিকতা এসব মিলিয়ে দাম্পত্য জীবন যান্ত্রিক হয়ে পড়ে। এসব সত্ত্বেও দম্পতি যুগলের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ ধরে রাখতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। মার্কিন লেখক বাকোসের মতে যৌন জীবনে সবচেয়ে সক্রিয় জুটিরা সব সময় যে মিলনে অভ্যস্ত তা কিন্তু নয়। একটুখানি আদর, মিষ্টি সোহাগ মেশানো কথা, চিমটি কাটা-এসবও যৌন জীবনের অংশ। তাই মোট কতবার যৌনমিলন হলো সে সংখ্যা না গুনে বরং পরস্পর একান্ত সান্নিধ্যে কতটা সময় কাটালেন যৌন জীবনে সেটাই মুখ্য বিষয়। কোনো কোনো রাত কেটে যেতে পারে শুধু পাশাপাশি শুয়ে একটুখানি আদর সোহাগ বিনিময়ের মধ্য দিয়ে যৌনবোধ দেহের দিক দিয়ে প্রধানত স্নায়ুর সাথে সম্বন্ধযুক্ত। মানুষের দেহে স্নায়ুপ্রধান যে সমস্ত অঙ্গ আছে সেখানে যৌন অনুভূতি অতিশয় প্রবল। এই সমস্ত স্থান যৌনবোধের সাথে এমন ঘনিষ্ঠভাবে সম্বন্ধযুক্ত যে, এদের যৌনস্থল বা কামাঞ্চল বলা হয়।
এই সমস্ত
স্থানের স্নায়ুসমূহ
যৌনবোধের সাথে
অতিশয় ঘনিষ্ঠভাবে
সম্পর্কিত মানুষের মনে কোনো কারণে
যৌনবাসনার স্ফুরণ হলে প্রাথমিক যৌন
প্রদেশসমূহে উক্ত অনুভূতির লক্ষণ প্রকাশ
পায় আবার
ওইসব স্থানেই
স্পর্শ বা
ঘর্ষণের দ্বারাও
যৌন অনুভূতির
সৃষ্টি হয়,
গুরুত্ব হিসেবে
যৌন প্রদেশগুলো
হলো-স্ত্রীলোকের,
ভগাঙ্কুর, ক্ষুদ্রোষ্ঠ, বৃহদোষ্ঠ, ভেস্টিবিউল, স্তন,
বিশেষত স্তনের
বোঁটা, যোনির
উপরের দিকের
দেয়াল, ঊরুদেশ,
নিতম্ব, গুহ্যদ্বার,
ঠোঁট, গাল,
পুরুষের, শিশ্নমুন্ড,
বাকি লিঙ্গ,
অন্ডকোষ, বস্তিপ্রদেশ,
স্তনের বোঁটা,
ঊরুদেশ, নিতম্ব,
গুহ্যদ্বার, ঠোঁট, গাল, এছাড়া স্থান-কাল ও
পাত্রভেদে মানুষের শরীরের প্রায় সর্বত্রই
যৌনবোধ সৃষ্টি
করা যায়,
বিশেষত, দেহের
যে যে
স্থানে চর্ম
ও শ্লৈষ্মিক
ঝিল্লি সম্মিলিত
হয়েছে। সেই
সমস্ত স্থানেই
যৌনবোধ অল্পবিস্তর
বিদ্যমান। তবে উপরে যে সমস্ত
স্থানের নাম
করা গেল
সেই সমস্তের
সাথে যৌনবোধের
বিশেষ ঘনিষ্ঠ
সম্বন্ধ বিদ্যমান
রয়েছে ওই
সমস্ত স্থান
নিজের অথবা
অপরের হস্ত
দ্বারা বিশেষত
বিপরীত লিঙ্গের
হস্ত, জিহ্বা,
ঠোঁট বা
অনুরূপ অঙ্গ
দ্বারা ঘর্ষিত
বা স্পর্শিত
হলেও সুখানুভূতি
ও যৌন
বৃত্তি জাগ্রত
হয়, আবার
অপরের ওইসব
অঙ্গের সেবা
করলেও নিজের
কাম জাগ্রত
হয়। সে
জন্য মিলনের
সময় নারী-পুরুষের পরস্পরের
ওই সমস্ত
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের
নানাপ্রকার সংযোগ চিরকাল মানুষের মধ্যে
প্রচলিত আছে।
ঘ্রাণেন্দ্রিয় ও যৌনতা
প্রাণীদের মধ্যে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের মধ্যে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ই সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও ইন্দ্রিয়। তাদের এ ঘ্রাণেন্দ্রিয় অন্যান্য সমস্ত ইন্দ্রিয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে-জীবদেহে জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলোর পূর্বেই ঘ্রাণেন্দ্রিয় বিকশিত হয়েছিল। ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের স্থান মানুষের মধ্যেও অবহেলা করার মতো নয়, মস্তিষ্কের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্বন্ধ রয়েছে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের, মানুষের মনোবৃত্তি তথা শরীর ও মনের ওপর রয়েছে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রভাব। দুর্গন্ধ হতে আমাদের মানসিক বিষণ্নতা এবং সুগন্ধ হতে মানসিক প্রফুল্লতা-সজীবতা এ উভয় হতে শরীর ও মনের ওপর ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রভাব উপলব্ধি করা যায়। মন ও শরীরের ওপর ঘ্রাণশক্তির এই প্রভাববশত মানুষের যৌনবোধের ওপর এর প্রভাব অতি সহজ হয়েছে। যৌনতাবোধকে ঘ্রাণশক্তি দ্বারা প্রভাবান্বিত করা যায় অনেকাংশে ঘ্রাণ সেক্সকে জাগাতে সাহায্য করে। মনিন ও হিপোক্রোটিসের অভিমত হলো, মানুষের ঘ্রাণশক্তি, তার শরীরের গন্ধ বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে এবং মানুষের যৌনবোধ ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের সাহায্যে বিপরীত সেক্সের যৌনতার সন্ধান পেয়ে থাকে। এ সমস্ত মতবাদ অতিশয়োক্তি বা সংকীর্ণ হতে পারে, তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এটা পুরোপুরি অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। নাসিকার সাথে যৌনতাবোধের সম্পর্ক রয়েছে নাসিকার সাথে মস্তিষ্কের তথা স্নায়ুমণ্ডলীর সম্পর্ক রয়েছে। তবে অন্যান্য প্রাণীদের মতো মানুষ ঘ্রাণেন্দ্রিয় দ্বারা খুব বেশি প্রভাবান্বিত নয়। তবে লক্ষ করার মতো বিষয় হলো, এমন অনেক গন্ধদ্রব্য আছে যার দ্বারা মানুষের যৌনবোধের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে থাকে অনেক সময় প্রিয়জনের শরীর ও পোশাকের গন্ধ আমাদের প্রিয় তেমনি অপ্রিয়জনের শরীর ও পোশাকের গন্ধ অপ্রিয়। প্রিয়জনের গন্ধে মনে সেক্সের আগ্রহ জন্মে। নারীর দেহের গন্ধে পুরুষ আকৃষ্ট হয়, পুরুষের দেহের গন্ধে নারীও আকৃষ্ট হতে পারে। যৌনবোধের প্রত্যক্ষ তৃপ্তি ঘটে নারী-পুরুষের দৈহিক মিলনের মাধ্যমে। নারী পুরুষের দৈহিক মিলনে প্রধানত দুই প্রকারের দৈহিক প্রতিক্রিয়া সংঘটিত হয় এর একটি শ্বাস-প্রশ্বাসঘটিত অপরটি রক্ত সঞ্চালনঘটিত। নারী-পুরুষের উত্তেজনার চরম মুহূর্তে শ্বাস-প্রশ্বাস অনেকখানি গভীর বা দীর্ঘ হয়ে আসে ফলে দেহে রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায় হার্টের গতি বৃদ্ধি পায়। শিরাসমূহ ফুলে ওঠে, নারীর অঙ্গেও অনুরূপ পরিবর্তন সংগঠিত হয়. নারী জরায়ুর মুখ কিছুটা উন্মুক্ত হয়ে তা বস্তি প্রদেশের খানিক দূরে নেমে আসে। নারীর যোনি প্রাচীরের বিভিন্ন রসগ্রন্থি হতে ক্রমাগত রস ক্ষরণ হতে থাকে, ভগাঙ্কুর বা ক্লাইটোরিস উত্থিত হয়। ভগাঙ্কুর উত্তেজিত হয়।
প্রাণীদের মধ্যে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের মধ্যে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ই সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও ইন্দ্রিয়। তাদের এ ঘ্রাণেন্দ্রিয় অন্যান্য সমস্ত ইন্দ্রিয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে-জীবদেহে জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলোর পূর্বেই ঘ্রাণেন্দ্রিয় বিকশিত হয়েছিল। ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের স্থান মানুষের মধ্যেও অবহেলা করার মতো নয়, মস্তিষ্কের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্বন্ধ রয়েছে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের, মানুষের মনোবৃত্তি তথা শরীর ও মনের ওপর রয়েছে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রভাব। দুর্গন্ধ হতে আমাদের মানসিক বিষণ্নতা এবং সুগন্ধ হতে মানসিক প্রফুল্লতা-সজীবতা এ উভয় হতে শরীর ও মনের ওপর ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রভাব উপলব্ধি করা যায়। মন ও শরীরের ওপর ঘ্রাণশক্তির এই প্রভাববশত মানুষের যৌনবোধের ওপর এর প্রভাব অতি সহজ হয়েছে। যৌনতাবোধকে ঘ্রাণশক্তি দ্বারা প্রভাবান্বিত করা যায় অনেকাংশে ঘ্রাণ সেক্সকে জাগাতে সাহায্য করে। মনিন ও হিপোক্রোটিসের অভিমত হলো, মানুষের ঘ্রাণশক্তি, তার শরীরের গন্ধ বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে এবং মানুষের যৌনবোধ ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের সাহায্যে বিপরীত সেক্সের যৌনতার সন্ধান পেয়ে থাকে। এ সমস্ত মতবাদ অতিশয়োক্তি বা সংকীর্ণ হতে পারে, তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এটা পুরোপুরি অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। নাসিকার সাথে যৌনতাবোধের সম্পর্ক রয়েছে নাসিকার সাথে মস্তিষ্কের তথা স্নায়ুমণ্ডলীর সম্পর্ক রয়েছে। তবে অন্যান্য প্রাণীদের মতো মানুষ ঘ্রাণেন্দ্রিয় দ্বারা খুব বেশি প্রভাবান্বিত নয়। তবে লক্ষ করার মতো বিষয় হলো, এমন অনেক গন্ধদ্রব্য আছে যার দ্বারা মানুষের যৌনবোধের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে থাকে অনেক সময় প্রিয়জনের শরীর ও পোশাকের গন্ধ আমাদের প্রিয় তেমনি অপ্রিয়জনের শরীর ও পোশাকের গন্ধ অপ্রিয়। প্রিয়জনের গন্ধে মনে সেক্সের আগ্রহ জন্মে। নারীর দেহের গন্ধে পুরুষ আকৃষ্ট হয়, পুরুষের দেহের গন্ধে নারীও আকৃষ্ট হতে পারে। যৌনবোধের প্রত্যক্ষ তৃপ্তি ঘটে নারী-পুরুষের দৈহিক মিলনের মাধ্যমে। নারী পুরুষের দৈহিক মিলনে প্রধানত দুই প্রকারের দৈহিক প্রতিক্রিয়া সংঘটিত হয় এর একটি শ্বাস-প্রশ্বাসঘটিত অপরটি রক্ত সঞ্চালনঘটিত। নারী-পুরুষের উত্তেজনার চরম মুহূর্তে শ্বাস-প্রশ্বাস অনেকখানি গভীর বা দীর্ঘ হয়ে আসে ফলে দেহে রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায় হার্টের গতি বৃদ্ধি পায়। শিরাসমূহ ফুলে ওঠে, নারীর অঙ্গেও অনুরূপ পরিবর্তন সংগঠিত হয়. নারী জরায়ুর মুখ কিছুটা উন্মুক্ত হয়ে তা বস্তি প্রদেশের খানিক দূরে নেমে আসে। নারীর যোনি প্রাচীরের বিভিন্ন রসগ্রন্থি হতে ক্রমাগত রস ক্ষরণ হতে থাকে, ভগাঙ্কুর বা ক্লাইটোরিস উত্থিত হয়। ভগাঙ্কুর উত্তেজিত হয়।
স্বামী-স্ত্রী ও উদ্দীপনা
স্বামীর পক্ষে অনেক সময়েই স্ত্রীর আবেগজনিত ও শারীরিক লক্ষণ দেখে তার উদ্দীপনার মাত্রা বোঝা সম্ভব। যে ক্ষেত্রে পারস্পরিক সরলতা বর্তমান এবং নিষেধাজ্ঞাজনিত সংস্কার অনুপস্থিত সে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পক্ষেই পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারা সহজ হয়। স্ত্রীর আসঙ্গ লিপ্সা প্রকাশের বহু রকম স্বভাবসিদ্ধ উপায় আছে স্বামী স্বাভাবিকভাবেই তার শারীরিক ও হৃদয়াবেগজনিত প্রতিক্রিয়ার অর্থ অনুধাবন করতে শেখে। শারীরিক দিকে ভালভা প্রদেশে, বার্থোলিন গ্রন্থি নিঃসৃত ক্ষরণের দ্বারা স্ত্রীর গ্রহণেচ্ছা প্রমাণিত হয়। এই ক্ষরণের দ্বারা জননেন্দ্রিয়ের বহিরাংশ সম্পূর্ণরূপে ভিজে যাওয়ার পর লিঙ্গ প্রবিষ্ট হওয়া উচিত। এই ক্ষরণের ফলে ভালভা প্রদেশ ও যোনি-মুখ ভিজে পিচ্ছিল হয়ে গেলে লিঙ্গ খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং যৌন উত্তেজনাও বাড়তে থাকে বিবাহের গোড়ার কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ শারীরিক অস্বাচ্ছন্দ্য, হৃদয়াবেগজনিত উদ্বেগ ও দমনের দরুন এই গ্রন্থিগুলোর ক্রিয়া সংকুচিত হতে পারে এর ক্ষরণ বিলম্বিত হতে পারে তা যদি হয়। কৃত্রিম তৈলাক্ত পদার্থ বা লুব্রিকেন্ট, জীবাণু শূন্য স্নেহময় পদার্থ বর্জিত জেল ব্যবহার করা যেতে পারে তাতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ সুগম ও আরামদায়ক হয় এবং উভয়ের সন্তোষজনক চরমতৃপ্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
স্বামীর পক্ষে অনেক সময়েই স্ত্রীর আবেগজনিত ও শারীরিক লক্ষণ দেখে তার উদ্দীপনার মাত্রা বোঝা সম্ভব। যে ক্ষেত্রে পারস্পরিক সরলতা বর্তমান এবং নিষেধাজ্ঞাজনিত সংস্কার অনুপস্থিত সে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পক্ষেই পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারা সহজ হয়। স্ত্রীর আসঙ্গ লিপ্সা প্রকাশের বহু রকম স্বভাবসিদ্ধ উপায় আছে স্বামী স্বাভাবিকভাবেই তার শারীরিক ও হৃদয়াবেগজনিত প্রতিক্রিয়ার অর্থ অনুধাবন করতে শেখে। শারীরিক দিকে ভালভা প্রদেশে, বার্থোলিন গ্রন্থি নিঃসৃত ক্ষরণের দ্বারা স্ত্রীর গ্রহণেচ্ছা প্রমাণিত হয়। এই ক্ষরণের দ্বারা জননেন্দ্রিয়ের বহিরাংশ সম্পূর্ণরূপে ভিজে যাওয়ার পর লিঙ্গ প্রবিষ্ট হওয়া উচিত। এই ক্ষরণের ফলে ভালভা প্রদেশ ও যোনি-মুখ ভিজে পিচ্ছিল হয়ে গেলে লিঙ্গ খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং যৌন উত্তেজনাও বাড়তে থাকে বিবাহের গোড়ার কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ শারীরিক অস্বাচ্ছন্দ্য, হৃদয়াবেগজনিত উদ্বেগ ও দমনের দরুন এই গ্রন্থিগুলোর ক্রিয়া সংকুচিত হতে পারে এর ক্ষরণ বিলম্বিত হতে পারে তা যদি হয়। কৃত্রিম তৈলাক্ত পদার্থ বা লুব্রিকেন্ট, জীবাণু শূন্য স্নেহময় পদার্থ বর্জিত জেল ব্যবহার করা যেতে পারে তাতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ সুগম ও আরামদায়ক হয় এবং উভয়ের সন্তোষজনক চরমতৃপ্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
নারীর ত্বক মর্দনে পুরুষ
ত্বক আমাদের যৌনতাবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়। মিলন নারী-পুরুষকে যতখানি আনন্দ দান করতে পারে, তা কেবল ত্বকের অনুভূতিশীলতার জন্য। সমস্ত ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ত্বকই সর্বাপেক্ষা প্রত্যক্ষ সম্বন্ধযুক্ত। প্রধানত ত্বকের ওপরই নারী-পুরুষের সমস্ত ইন্দ্রিয়ানুভূতি প্রতিষ্ঠিত। নারী-পুরুষের যৌনক্রিয়ার প্রত্যক্ষ অংশ হলো-চুম্বন, দংশন, চোষণ, লেহন, আলিঙ্গন ইত্যাদি।
ত্বক আমাদের যৌনতাবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়। মিলন নারী-পুরুষকে যতখানি আনন্দ দান করতে পারে, তা কেবল ত্বকের অনুভূতিশীলতার জন্য। সমস্ত ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ত্বকই সর্বাপেক্ষা প্রত্যক্ষ সম্বন্ধযুক্ত। প্রধানত ত্বকের ওপরই নারী-পুরুষের সমস্ত ইন্দ্রিয়ানুভূতি প্রতিষ্ঠিত। নারী-পুরুষের যৌনক্রিয়ার প্রত্যক্ষ অংশ হলো-চুম্বন, দংশন, চোষণ, লেহন, আলিঙ্গন ইত্যাদি।
বিজ্ঞানী হ্যাভলক
এলিস ও
অন্য যৌনবিজ্ঞানীদের
অভিমত হলো
এই যে,
যৌন প্রবণতা
বৃদ্ধির জন্য
এ সমস্ত
কার্য করা
অবশ্যই উচিত।
এসব কার্যের
দ্বারা যৌনতায়
উৎকর্ষতা
আসে, আসে
সৌন্দর্যতা-সুখময়তা। চোষণ, লেহন ও
দংশন হলো
চুম্বনের বর্ধিত
মাত্রা। যে
সব স্থানে
চুম্বন করলে
নারীর যৌন
প্রবৃত্তি জাগ্রত হয়, যৌন প্রবৃত্তি
বৃদ্ধির জন্য
নারীর সেসব
বিশেষ স্থানে
এগুলো নারীকে
আরও উত্তেজিত
করে তোলে।
নারী হয়ে
পড়ে বেসামাল।
আর তখনই
সে পুরুষের
বাহুতে নিজেকে
উৎসর্গ
করে দেয়
মন-প্রাণ
উজাড় করে।
আর এভাবেই
শুরু হয়
সেক্স আর্ট,
সেক্স কলা।
চুম্বন ত্বকান্দ্রিয়ের
স্পর্শানুভূতির আর একটি উজ্জ্বল পন্থা।
অধরোষ্ট অতিশয়
চেতনাশীল অঙ্গ
ত্বক ও
শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির সীমারেখা হওয়ায় এটা
স্পর্শগুণে গুণান্বিত ও অত্যন্ত অনুভূতিশীল।
এর সঙ্গে
সঙ্গে প্রচণ্ড
রকমের চেতনাশীল
জিহ্বার সহযোগিতা
থাকায় এটি
নারী-পুরুষের
যৌন চেতনা
বৃদ্ধির অঙ্গ।
ঠোঁট ও
জিহ্বা প্রচণ্ড
রকমের চেতনাশীল
তাই এগুলো
যৌনবোধে প্রত্যক্ষ
অংশগ্রহণ করে
থাকে আলিঙ্গন
নারী-পুরুষের
ত্বকান্দ্রিয়ের স্পর্শানুভূতির অপর নিদর্শন। যৌনতায়
আলিঙ্গন অতীব
প্রয়োজনীয় অংশ হিসেবে কাজ করে
থাকে। আলিঙ্গন
সেক্স বাড়ায়
যৌনতাকে করে
আরও আকর্ষণীয়।
আলিঙ্গন বা
জড়িয়ে ধরা
নারী-পুরুষের
দেহের কোষে
কোষে ছড়িয়ে
দেয় স্পর্শানুভূতির
অনাবিল সুখ।
তাই যৌনক্রিয়ায়
আলিঙ্গনের কথা মনে রাখা প্রয়োজন।
মনে রাখতে
হবে যে
নারী-পুরুষের
আলিঙ্গনও যৌনতার
একটা অংশ।
সুড়সুড়ি বা
মর্দন ত্বকান্দ্রিয়ের
অনুভূতির তৃপ্তিবোধক
ব্যাপার। নারীর
যৌন প্রদেশসমূহ
কোমল বলে
ওইসব স্থানে
সুড়সুড়িবোধ খুবই বেশি। কাজেই হঠাৎ করে
ওই সমস্ত
স্থান স্পর্শ
করা ঠিক
নয়-স্পর্শ
হওয়া প্রয়োজন
ধীরে ধীরে,
ধৈর্যের সাথে
যৌনতায় এই
সুড়সুড়ি নারীর
সমস্ত যৌন
চেতনাকে উন্মুখ
করে দেয়।
এই সুড়সুড়ির
বর্ধিত মাত্রাই
হলো মর্দন।
মর্দন নারীর
যৌনবোধকে উস্কে
দেয়, নারীকে
যৌনতায় আগ্রহী
করে তোলে,
নারীকে চূড়ান্ত
মিলনের জন্য
প্রস্তুত করে,
নারীর যেসব
বিশেষ জায়গায়
সুড়সুড়ি দিলে
যৌনচেতনা জাগ্রত
হয়, যৌনচেতনা
জাগ্রত হওয়ার
সাথে সাথে
ওইসব স্থানে
পুরুষের প্রচাপনেরও
প্রয়োজন হয়।
নারী যৌন
প্রবৃত্তির সময় তার পুরুষের স্পর্শ
ও সুড়সুড়ি
ও মর্দন
কামনা করে,
সে চায়
তার পুরুষের
হাতের কোমল
ছোঁয়া, তৃপ্তিময়
স্পর্শ।
অকাল বীর্যস্খলন ও
স্বমেহন
বেশির ভাগ পুরুষদের বেলায়ই অকাল বীর্যপাত একটি প্রধান সমস্যা। অকাল বীর্যপাতের ফলে যৌন জীবনে প্রভাব পড়ে মারাত্মক। এ সমস্যায় ভুগে থাকেন হাজার হাজার পুরুষ। এটি একটি সাধারণ যৌন সমস্যা, এটি পুরুষের ইচ্ছার আগেই স্খলিত হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। অনেক পুরুষই অকালে বীর্যপাতকে তাদের প্রধান যৌন সমস্যা হিসেবে ভাবেন কোনো কোনো সময় শারীরিক অন্যান্য সমস্যা থাকলেও অকালে বীর্যপাত হতে পারে। অনেক সময় মানসিক সমস্যার জন্যও এটি হয়ে থাকে পুরুষের উত্তেজনা নারীদের চেয়ে দ্রুত ও আগে শুরু হয় এবং আগে শেষ হয়। যেসব পুরুষ কিছুটা উত্তেজিত হয়েই বীর্যকে ধরে রাখতে পারে না বা সেই ক্ষমতা হারায় তারা নিরানন্দ যৌনতা উপভোগ করে। এক্ষেত্রে অকাল বীর্যপাত রোধ না করলে যৌনমিলন উপভোগ্য হয়ে ওঠে না। অকাল বীর্যপাতের ফলে পুরুষের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, পুরুষ নিজেকে অক্ষম ভাবতে শুরু করে। যৌনতা তার কাছে আনন্দহীন হয়ে ওঠে, হয়ে ওঠে অর্থহীন, ফলে দাম্পত্য জীবনে অবনিবনার সৃষ্টি হয়। এ রকম অবস্থায় উচিত হবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া হস্তমৈথুনের প্র্যাকটিস পুরুষ-নারী উভয়েই করে থাকে। হস্তমৈথুন পুরুষ বা নারীর নিজের ইচ্ছা এবং নিজের শারীরিক কর্মের মাধ্যমে সম্ভব। সামপ্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শতকরা ৯৫ জন পুরুষ এবং শতকরা ৮৯ জন নারী হস্তমৈথুন বা স্বমেহনে অভ্যস্ত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নারী এবং পুরুষ প্রথম যৌনমিলনের স্বাদ গ্রহণ করে স্বমেহনের মাধ্যমে নিয়মিত যৌনসঙ্গীর অভাবে বহু পুরুষ এবং বহু নারী স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এটি খুবই সাধারণ যৌনতার আচরণ অনেক পুরুষ ও নারী ছোটবেলাতেই স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। হয়তো তাদের মনের অজান্তেই তারা এই আনন্দটি উপভোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে অবশ্য এটি অগোচরে, সবার অলক্ষ্যে একাকী করতে হয় বলে ধর্মের দিক থেকে এটিকে নিষিদ্ধ ও পাপ কাজ এবং শারীরিক দিক থেকে এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে করা হয়। এটি যৌন আনন্দের একটি বিকল্প উপায় মাত্র। অনেক ক্ষেত্রে দম্পতিরাও যৌনমিলনের প্রাক্কালে স্বমেহন ঘটিয়ে থাকেন। এতে করে যৌনমিলন আরও বৈচিত্র্যময় হয়, স্বমেহন ব্যক্তিগত যৌনতার পরিচায়ক। অনেক সময়ই এটি আনন্দ নিয়ে আসে তবে হাতের চাপ এবং নখের দংশন ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি যৌনমিলনের চেয়েও অনেক সময় অধিক তৃপ্তিদায়ক কোনো কোনো পুরুষ এবং নারীর কাছে।
বেশির ভাগ পুরুষদের বেলায়ই অকাল বীর্যপাত একটি প্রধান সমস্যা। অকাল বীর্যপাতের ফলে যৌন জীবনে প্রভাব পড়ে মারাত্মক। এ সমস্যায় ভুগে থাকেন হাজার হাজার পুরুষ। এটি একটি সাধারণ যৌন সমস্যা, এটি পুরুষের ইচ্ছার আগেই স্খলিত হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। অনেক পুরুষই অকালে বীর্যপাতকে তাদের প্রধান যৌন সমস্যা হিসেবে ভাবেন কোনো কোনো সময় শারীরিক অন্যান্য সমস্যা থাকলেও অকালে বীর্যপাত হতে পারে। অনেক সময় মানসিক সমস্যার জন্যও এটি হয়ে থাকে পুরুষের উত্তেজনা নারীদের চেয়ে দ্রুত ও আগে শুরু হয় এবং আগে শেষ হয়। যেসব পুরুষ কিছুটা উত্তেজিত হয়েই বীর্যকে ধরে রাখতে পারে না বা সেই ক্ষমতা হারায় তারা নিরানন্দ যৌনতা উপভোগ করে। এক্ষেত্রে অকাল বীর্যপাত রোধ না করলে যৌনমিলন উপভোগ্য হয়ে ওঠে না। অকাল বীর্যপাতের ফলে পুরুষের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, পুরুষ নিজেকে অক্ষম ভাবতে শুরু করে। যৌনতা তার কাছে আনন্দহীন হয়ে ওঠে, হয়ে ওঠে অর্থহীন, ফলে দাম্পত্য জীবনে অবনিবনার সৃষ্টি হয়। এ রকম অবস্থায় উচিত হবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া হস্তমৈথুনের প্র্যাকটিস পুরুষ-নারী উভয়েই করে থাকে। হস্তমৈথুন পুরুষ বা নারীর নিজের ইচ্ছা এবং নিজের শারীরিক কর্মের মাধ্যমে সম্ভব। সামপ্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শতকরা ৯৫ জন পুরুষ এবং শতকরা ৮৯ জন নারী হস্তমৈথুন বা স্বমেহনে অভ্যস্ত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নারী এবং পুরুষ প্রথম যৌনমিলনের স্বাদ গ্রহণ করে স্বমেহনের মাধ্যমে নিয়মিত যৌনসঙ্গীর অভাবে বহু পুরুষ এবং বহু নারী স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এটি খুবই সাধারণ যৌনতার আচরণ অনেক পুরুষ ও নারী ছোটবেলাতেই স্বমেহনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। হয়তো তাদের মনের অজান্তেই তারা এই আনন্দটি উপভোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে অবশ্য এটি অগোচরে, সবার অলক্ষ্যে একাকী করতে হয় বলে ধর্মের দিক থেকে এটিকে নিষিদ্ধ ও পাপ কাজ এবং শারীরিক দিক থেকে এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে করা হয়। এটি যৌন আনন্দের একটি বিকল্প উপায় মাত্র। অনেক ক্ষেত্রে দম্পতিরাও যৌনমিলনের প্রাক্কালে স্বমেহন ঘটিয়ে থাকেন। এতে করে যৌনমিলন আরও বৈচিত্র্যময় হয়, স্বমেহন ব্যক্তিগত যৌনতার পরিচায়ক। অনেক সময়ই এটি আনন্দ নিয়ে আসে তবে হাতের চাপ এবং নখের দংশন ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি যৌনমিলনের চেয়েও অনেক সময় অধিক তৃপ্তিদায়ক কোনো কোনো পুরুষ এবং নারীর কাছে।
পুরুষত্বহীনতা ও চিকিৎসা
একটি ইউরোপিয়ান গবেষণায় দেখা যায় যে, শতকরা ২০ জন পুরুষ পরীক্ষা বাদে এবং বাকি ০ শতাংশ পরীক্ষার পর মুখে সেব্য ওষুধের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন পুরুষত্বহীনতার জন্য। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অবশ্য পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা করা দুরূহ চিকিৎসকগণ প্রথমে কারণ চিহ্নিত করে তারপর সবচেয়ে সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ দিয়ে থাকেন। বর্তমানে পাশ্চাত্যে ভায়াগ্রা বহু পুরুষের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। আবার অনেকে আছেন যারা ওষুধ সেবনের পক্ষপাতী নন তাদের জন্য লিঙ্গে দেয়ার যোগ্য ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এলপ্রোস্টাডিল ইঞ্জেকশন এটি কোনো কোনো পুরুষের জন্য খুবই উপযোগী। এলপ্রোস্টালিল প্রাকৃতিক উপাদান এবং প্রোস্টাগল্যাডিন ‘ই আই’ থেকে তৈরি যা রক্তের নালিগুলোকে খুলে রাখতে পারে। এটি ডায়াবেটিস, সার্জারি এবং ইনজুরির ক্ষেত্রে কার্যকর। তবে এটির কিছু সাধারণ প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন নিচুমাত্রার হার্টের রোগের জন্য এবং রক্তচাপের সময় এই ইঞ্জেকশন গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক সময় এটি নারীদের গর্ভাবস্থায় টক্সিক সৃষ্টি করতে পারে এবং যৌনমিলনকালে নারী তার যোনিতে জ্বালা অনুভব করতে পারে। এটি ঊরুতে দেয়ার ইঞ্জেকশন এবং মিনিট দশেকের মধ্যেই এটি তার কার্যকারিতা শুরু করে এবং এটি অন্ততপক্ষে উত্তেজনাকে ৪ ঘণ্টা টিকিয়ে রাখে। তবে আমাদের দেশের চিকিৎসার প্রেক্ষিতে এটি খুব ব্যয়সাপেক্ষ এবং দুর্লভ। পাশ্চাত্যে এলপ্রোস্টাডিল এখন ক্রিম আকারে পাওয়া যাচ্ছে যা ৭৫ ভাগ কার্যকর এবং প্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। এটি লিঙ্গের মাথায় যৌনমিলন শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বে লাগাতে হয়। আরও দুটো ইঞ্জেকশন পুরুষত্বহীনতায় কার্যকর এদের একটি হলো প্যাপভেরিন এবং অন্যটি পেনটোলমিন এদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই অল্প। কিছু ব্যথা বা আলসার সৃষ্টিতে তা খুবই সহজে ভূমিকা পালন করতে পারে সাধারণত এই ওষুধগুলো মস্তিষ্কে যৌনতার ব্যাপারে সাড়া সৃষ্টি করে এবং তারপর লিঙ্গের উত্তেজনা বাড়াতে থাকে। এখন শতকরা ৯০ জন পুরুষত্বহীন পুরুষের চিকিৎসার জন্য ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল প্রেসক্রাইব করা হচ্ছে। এবং এদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। অনেকে এটিকে খুবই সন্তোষজনক মনে করছে এবং সন্তোষজনকভাবে গ্রহণ করছে আবার অন্ততপক্ষে ৩০ শতাংশ দম্পতি এটিকে অতৃপ্তিকর চিকিৎসা মনে করে এটি গ্রহণ করছেন না। ভায়াগ্রা মূলত হার্টের রোগের ওষুধ কিন্তু লিঙ্গকে সুদৃঢ় করতে এটির ভূমিকা রয়েছে ব্যাপক। এটি এনজাইম ফসফেডোইটিরেস-৫ কে কমিয়ে রাখতে পারে। এই ওষুধে এমন পদার্থ রয়েছে যা পুরুষাঙ্গের উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এটি রক্তপ্রবাহের মাত্রাকে সঞ্জীবিত করে। ভায়াগ্রা ২০-৪০ মিনিটের মধ্যে কার্যকর হওয়া শুরু করে এবং এটি দিনে একবারের বেশি ব্যবহারযোগ্য বা সেবনযোগ্য নয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বেশ রয়েছে। এটি যাদের চোখে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া পুরুষত্বহীনতা রোধে এরিথ্রোমাইসিন ভূমিকা রাখে। তবে এগুলো ওষুধের কার্যকারিতা এবং পদার্থের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেয়া উচিত-কেননা পাশ্চাত্যে এ ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষ মারা গেছে, কাজেই সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। স্পাইনাল কর্ডের ইনজুরির কারণ হতে পারে ভায়াগ্রা পুরুষত্বহীনতার জন্য অন্যান্য ওষুধ অয়েন্টমেন্ট, ক্রিম, সেপ্র ইত্যাদি পাওয়া যায় তবে এগুলো খুব বেশি পরিমাণে সফলতা পায়নি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রোস্টাগল্যাডিন-ই-২ ক্রিমে শতকরা ৩০ ভাগ ক্ষেত্রে লিঙ্গ উত্থিত হতে পারে। আবার এক ধরনের সেপ্র আছে যা মিনোক্সিডিল থেকে তৈরি এটিও শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়া মেলানোট্যান-২ গবেষণার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ মাত্রার নাইট্রোগ্লিসারিন ৭৫ ভাগ পুরুষের ক্ষেত্রে উত্থান সম্পর্কিত সমস্যায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে মূল কথা যাই হোক না কেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
একটি ইউরোপিয়ান গবেষণায় দেখা যায় যে, শতকরা ২০ জন পুরুষ পরীক্ষা বাদে এবং বাকি ০ শতাংশ পরীক্ষার পর মুখে সেব্য ওষুধের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন পুরুষত্বহীনতার জন্য। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অবশ্য পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা করা দুরূহ চিকিৎসকগণ প্রথমে কারণ চিহ্নিত করে তারপর সবচেয়ে সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ দিয়ে থাকেন। বর্তমানে পাশ্চাত্যে ভায়াগ্রা বহু পুরুষের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। আবার অনেকে আছেন যারা ওষুধ সেবনের পক্ষপাতী নন তাদের জন্য লিঙ্গে দেয়ার যোগ্য ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এলপ্রোস্টাডিল ইঞ্জেকশন এটি কোনো কোনো পুরুষের জন্য খুবই উপযোগী। এলপ্রোস্টালিল প্রাকৃতিক উপাদান এবং প্রোস্টাগল্যাডিন ‘ই আই’ থেকে তৈরি যা রক্তের নালিগুলোকে খুলে রাখতে পারে। এটি ডায়াবেটিস, সার্জারি এবং ইনজুরির ক্ষেত্রে কার্যকর। তবে এটির কিছু সাধারণ প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন নিচুমাত্রার হার্টের রোগের জন্য এবং রক্তচাপের সময় এই ইঞ্জেকশন গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক সময় এটি নারীদের গর্ভাবস্থায় টক্সিক সৃষ্টি করতে পারে এবং যৌনমিলনকালে নারী তার যোনিতে জ্বালা অনুভব করতে পারে। এটি ঊরুতে দেয়ার ইঞ্জেকশন এবং মিনিট দশেকের মধ্যেই এটি তার কার্যকারিতা শুরু করে এবং এটি অন্ততপক্ষে উত্তেজনাকে ৪ ঘণ্টা টিকিয়ে রাখে। তবে আমাদের দেশের চিকিৎসার প্রেক্ষিতে এটি খুব ব্যয়সাপেক্ষ এবং দুর্লভ। পাশ্চাত্যে এলপ্রোস্টাডিল এখন ক্রিম আকারে পাওয়া যাচ্ছে যা ৭৫ ভাগ কার্যকর এবং প্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। এটি লিঙ্গের মাথায় যৌনমিলন শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বে লাগাতে হয়। আরও দুটো ইঞ্জেকশন পুরুষত্বহীনতায় কার্যকর এদের একটি হলো প্যাপভেরিন এবং অন্যটি পেনটোলমিন এদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই অল্প। কিছু ব্যথা বা আলসার সৃষ্টিতে তা খুবই সহজে ভূমিকা পালন করতে পারে সাধারণত এই ওষুধগুলো মস্তিষ্কে যৌনতার ব্যাপারে সাড়া সৃষ্টি করে এবং তারপর লিঙ্গের উত্তেজনা বাড়াতে থাকে। এখন শতকরা ৯০ জন পুরুষত্বহীন পুরুষের চিকিৎসার জন্য ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল প্রেসক্রাইব করা হচ্ছে। এবং এদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। অনেকে এটিকে খুবই সন্তোষজনক মনে করছে এবং সন্তোষজনকভাবে গ্রহণ করছে আবার অন্ততপক্ষে ৩০ শতাংশ দম্পতি এটিকে অতৃপ্তিকর চিকিৎসা মনে করে এটি গ্রহণ করছেন না। ভায়াগ্রা মূলত হার্টের রোগের ওষুধ কিন্তু লিঙ্গকে সুদৃঢ় করতে এটির ভূমিকা রয়েছে ব্যাপক। এটি এনজাইম ফসফেডোইটিরেস-৫ কে কমিয়ে রাখতে পারে। এই ওষুধে এমন পদার্থ রয়েছে যা পুরুষাঙ্গের উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এটি রক্তপ্রবাহের মাত্রাকে সঞ্জীবিত করে। ভায়াগ্রা ২০-৪০ মিনিটের মধ্যে কার্যকর হওয়া শুরু করে এবং এটি দিনে একবারের বেশি ব্যবহারযোগ্য বা সেবনযোগ্য নয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বেশ রয়েছে। এটি যাদের চোখে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া পুরুষত্বহীনতা রোধে এরিথ্রোমাইসিন ভূমিকা রাখে। তবে এগুলো ওষুধের কার্যকারিতা এবং পদার্থের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেয়া উচিত-কেননা পাশ্চাত্যে এ ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষ মারা গেছে, কাজেই সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। স্পাইনাল কর্ডের ইনজুরির কারণ হতে পারে ভায়াগ্রা পুরুষত্বহীনতার জন্য অন্যান্য ওষুধ অয়েন্টমেন্ট, ক্রিম, সেপ্র ইত্যাদি পাওয়া যায় তবে এগুলো খুব বেশি পরিমাণে সফলতা পায়নি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রোস্টাগল্যাডিন-ই-২ ক্রিমে শতকরা ৩০ ভাগ ক্ষেত্রে লিঙ্গ উত্থিত হতে পারে। আবার এক ধরনের সেপ্র আছে যা মিনোক্সিডিল থেকে তৈরি এটিও শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়া মেলানোট্যান-২ গবেষণার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ মাত্রার নাইট্রোগ্লিসারিন ৭৫ ভাগ পুরুষের ক্ষেত্রে উত্থান সম্পর্কিত সমস্যায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে মূল কথা যাই হোক না কেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ফ্রয়েডিয়ান তত্ত্ব ও আরও কিছু
কথা
রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে প্রচন্ড যৌন অবদমনকালে সিগমন্ড ফ্রয়েডের উদ্ভব ঘটেছিল। ফ্রয়েড যেসব তত্ত্ব দিয়েছিলেন তাতে যৌনতাকে অকল্পনীয় গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তার উদ্ভাবিত সাইকোঅ্যানালাইসিস তত্ত্ব সারা বিশ্বজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত ও প্রভাবিত করেছিল। সাইকোঅ্যানালাইসিসে মনোবিকাশের অনেক কিছুই পুরুষাঙ্গকে অবলম্বন করে আবর্তিত হতে দেখা গেছে। লঙ্গকেন্দ্রিক মনের উদ্বেগ, লিঙ্গ হারানোর ভয়, কেসট্রেশন অ্যাংজাইটি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এর ফলে শিশু সাবলীলভাবে এডিপাস স্তর অতিক্রম করে যেতে পারে। মনের পূর্ণতা আরও উৎকর্ষতা পায়। আর স্বাবলম্বী হয়ে আসে। যৌনাঙ্গের মাধ্যমে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। সহজ ভাষায় যৌনাঙ্গের অযৌন ব্যবহার। মজার ব্যাপার হলো বানর, শিম্পাঞ্জী, গরিলা-এ জাতীয় প্রাণীগুলোর মাঝে এমন অদ্ভুত যৌনাচরণটি দেখা যায়। তারা শত্রু পক্ষকে উদ্রিক্ত পুরুষাঙ্গের মাধ্যমে যেন ক্রোধের প্রকাশ ঘটায়। সভ্যতার বিবর্তনে এ আচরণ সেন্সরড হয়ে গেলেও এর বিক্ষিপ্ত প্রকাশ দেখা যায়। র্যাপিস্টরা তাদের ভিকটিম, পুরুষ অথবা মেয়ে যেই হোক, এ যৌন আচরণ দেখিয়ে থাকেন। কিছুটা পরোক্ষ ইঙ্গিতে এটি ঘটিয়ে থাকে প্রদর্শন কর্মীরা। এরা মূলত শিশু আর মহিলাদের উদ্রিক্ত পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে থাকে। এ প্রদর্শন ঘটে আচমকা। এ কারণে সামনের জন হকচকিত অপ্রস্তুত হয়ে যায়। সাইকোঅ্যানালিসিস্টরা মূলত ফ্যালিক প্রাইড কথিত এ পরিভাষা ব্যবহার করে থাকেন। এটি শিশু পুত্রের মনে কতকটা অহংবোধের জন্ম দেয় সে নিজেকে মেয়েদের তুলনায় উৎকর্ষতর ভাবতে শেখে। মনের এ অনুভূতির কারণে শিশু অনেকটা সহজভাবে কেসট্রেশন অ্যাংজাইটি অতিক্রম করে যেতে পারে। একথা অনস্বীকার্য, পুরুষ মনের একটা সংবেদনশীল অংশ হলো যৌনতা। মনের একটা জায়গা জুড়ে থাকে পুরুষাঙ্গ আর তদসংশ্লিষ্ট নানা চিন্তা-চেতনা। এগুলো আমাদের আচরণকে প্রভাবিত করে অনেক মাত্রায়। শিশুর মনোযৌন বিকাশে জটিল পর্যায় যখন পুরুষ শিশু তার মাতার প্রতি এক ধরনের তাড়নাবোধ করে। আর এতে পিতাকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে বসে। এ কারণে শিশুর মনে তার পিতার জন্য প্রবল ঈর্ষা, বৈরিতা, প্রতিদ্বন্দ্বী মনোবৃত্তির বিকাশ ঘটে। গ্রীক কবি হোমারের সে সোফো ক্লেস গল্পের নায়ক ওডিপাস তার পিতাকে খুন করে মাতাকে বিয়ে করে। এ হতে ওডিপাস কমপ্লেক্সের অবতারণা। কেসট্রেশন অ্যাংজাইটির কারণে শিশু এর বিকল্প সমাধানের প্রয়াস পায়। সে বুঝে নেয় যদি সে নিজেকে পিতার মতো করে গড়ে তুলতে পারে তাহলে আগামীতে মায়ের মতো কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। মনোবিকাশের এ আঙ্গিকে আইডেন্টিফিকেশন বলা হয়। সমজাতীয় মনোজটিল দশা হলো মেয়েদের ইলেক্ট্রকমপ্লেক্স। শিশুকন্যার পিতার প্রতি অপ্রতিরোধ্য তাড়না থাকলেও মাতার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবে এ ভয়ে সামনে এগোয় না, সে মনকে বোধ দেয়। যদি সে মায়ের মতো করে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে তাহলে আগামীতে পিতার মতো কোনো পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। এটিই শিশু কন্যার মনের সাবলীল বিকাশ।
রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে প্রচন্ড যৌন অবদমনকালে সিগমন্ড ফ্রয়েডের উদ্ভব ঘটেছিল। ফ্রয়েড যেসব তত্ত্ব দিয়েছিলেন তাতে যৌনতাকে অকল্পনীয় গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তার উদ্ভাবিত সাইকোঅ্যানালাইসিস তত্ত্ব সারা বিশ্বজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত ও প্রভাবিত করেছিল। সাইকোঅ্যানালাইসিসে মনোবিকাশের অনেক কিছুই পুরুষাঙ্গকে অবলম্বন করে আবর্তিত হতে দেখা গেছে। লঙ্গকেন্দ্রিক মনের উদ্বেগ, লিঙ্গ হারানোর ভয়, কেসট্রেশন অ্যাংজাইটি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এর ফলে শিশু সাবলীলভাবে এডিপাস স্তর অতিক্রম করে যেতে পারে। মনের পূর্ণতা আরও উৎকর্ষতা পায়। আর স্বাবলম্বী হয়ে আসে। যৌনাঙ্গের মাধ্যমে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। সহজ ভাষায় যৌনাঙ্গের অযৌন ব্যবহার। মজার ব্যাপার হলো বানর, শিম্পাঞ্জী, গরিলা-এ জাতীয় প্রাণীগুলোর মাঝে এমন অদ্ভুত যৌনাচরণটি দেখা যায়। তারা শত্রু পক্ষকে উদ্রিক্ত পুরুষাঙ্গের মাধ্যমে যেন ক্রোধের প্রকাশ ঘটায়। সভ্যতার বিবর্তনে এ আচরণ সেন্সরড হয়ে গেলেও এর বিক্ষিপ্ত প্রকাশ দেখা যায়। র্যাপিস্টরা তাদের ভিকটিম, পুরুষ অথবা মেয়ে যেই হোক, এ যৌন আচরণ দেখিয়ে থাকেন। কিছুটা পরোক্ষ ইঙ্গিতে এটি ঘটিয়ে থাকে প্রদর্শন কর্মীরা। এরা মূলত শিশু আর মহিলাদের উদ্রিক্ত পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে থাকে। এ প্রদর্শন ঘটে আচমকা। এ কারণে সামনের জন হকচকিত অপ্রস্তুত হয়ে যায়। সাইকোঅ্যানালিসিস্টরা মূলত ফ্যালিক প্রাইড কথিত এ পরিভাষা ব্যবহার করে থাকেন। এটি শিশু পুত্রের মনে কতকটা অহংবোধের জন্ম দেয় সে নিজেকে মেয়েদের তুলনায় উৎকর্ষতর ভাবতে শেখে। মনের এ অনুভূতির কারণে শিশু অনেকটা সহজভাবে কেসট্রেশন অ্যাংজাইটি অতিক্রম করে যেতে পারে। একথা অনস্বীকার্য, পুরুষ মনের একটা সংবেদনশীল অংশ হলো যৌনতা। মনের একটা জায়গা জুড়ে থাকে পুরুষাঙ্গ আর তদসংশ্লিষ্ট নানা চিন্তা-চেতনা। এগুলো আমাদের আচরণকে প্রভাবিত করে অনেক মাত্রায়। শিশুর মনোযৌন বিকাশে জটিল পর্যায় যখন পুরুষ শিশু তার মাতার প্রতি এক ধরনের তাড়নাবোধ করে। আর এতে পিতাকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে বসে। এ কারণে শিশুর মনে তার পিতার জন্য প্রবল ঈর্ষা, বৈরিতা, প্রতিদ্বন্দ্বী মনোবৃত্তির বিকাশ ঘটে। গ্রীক কবি হোমারের সে সোফো ক্লেস গল্পের নায়ক ওডিপাস তার পিতাকে খুন করে মাতাকে বিয়ে করে। এ হতে ওডিপাস কমপ্লেক্সের অবতারণা। কেসট্রেশন অ্যাংজাইটির কারণে শিশু এর বিকল্প সমাধানের প্রয়াস পায়। সে বুঝে নেয় যদি সে নিজেকে পিতার মতো করে গড়ে তুলতে পারে তাহলে আগামীতে মায়ের মতো কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। মনোবিকাশের এ আঙ্গিকে আইডেন্টিফিকেশন বলা হয়। সমজাতীয় মনোজটিল দশা হলো মেয়েদের ইলেক্ট্রকমপ্লেক্স। শিশুকন্যার পিতার প্রতি অপ্রতিরোধ্য তাড়না থাকলেও মাতার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবে এ ভয়ে সামনে এগোয় না, সে মনকে বোধ দেয়। যদি সে মায়ের মতো করে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে তাহলে আগামীতে পিতার মতো কোনো পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। এটিই শিশু কন্যার মনের সাবলীল বিকাশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন