তথ্য
প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ
যেমন তার জীবন যাত্রায়
অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে
তেমন এর অপব্যবহারের ফল
ও কিন্তু কম নয়। এমন
একটি নমুনা হল ফেসবুকে
প্রতারণা ও এর মাধ্যমে
হয়রানি।
সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এখন
প্রায় সকলের কাছে জনপ্রিয়।
ফেসবুকের মাধ্যমে উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধেও
জড়িয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই এর শিকার হচ্ছে।
ভাবছেন এর কি কোন
প্রতিকার নেই? হাঁ আছে।
তথ্য
ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর
৫৭ (১) ধারাতে বলা
হয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি
ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাটে বা অন্যকোন ইলেক্ট্রনিক
বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ
বা সম্প্রচার করে যা মিথ্যা
ও অশ্লীল যার দ্বারা
কারো মানহানি ঘটে বা ভাবমূর্তি
ক্ষুণ্ন হয় আর এ
ধরনের তথ্যগুলোর মাধ্যমে সংলিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা
হলে অনধিক ১০ বছর
কারাদণ্ড এবং অনধিক এক
কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত
হওয়ার বিধান আছে।
আবার
পর্নোগ্রাফি আইন.২০১২ এ
আছে ,কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট
বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন
বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক
ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি
এ ধরণের অপরাধের জন্য
সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর
পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং
২,০০,০০০ (দুই
লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে
দণ্ডিত হবেন।
আমরা
অনেকে এইসব আইন সম্পর্কে
জানিনা বা জেনেও আইনের
আশ্রয় নি না বলে
এসব অপরাধ ও অপরাধীকে
দমানো কঠিন হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন