বর্তমান
প্রেক্ষাপটে ভালো একটি চাকরি
পাওয়া আর সোনার হরিণ
পাওয়া একই কথা।
তীব্র প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেকে
যোগ্য করে তুলতে হয়। সবচেয়ে
বড় কথা চাকরির বাজারে
রয়েছে বৈচিত্র্যতা। অনেক
ক্ষেত্রে দেখা যায়, বোটানিতে
অনার্স করে ব্যাংকে চাকরি
করতে যাচ্ছে, আবার পরিসংখ্যানে গ্রাজুয়েশন
করে অনেকেই ওষুধ কোম্পানিতে
চাকরি করছে। আবার
বিষয়ভিত্তিক চাকরি যে একদম
নেই তা কিন্তু বলা
যাবে না। প্রথমেই
ঠিক করে নিতে হবে
আপনার বিষয়ভিত্তিক চাকরি আপনি করবেন। ধরুন,
আপনি যদি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
হয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করেন
তাহলে হয়তো আপনি অনেক
টাকা বেতন পাবেন।
কিন্তু আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার
সঙ্গে পেশার মিল না
থাকায় উপরে ওঠার পথে
অন্তরায় সৃষ্টি হবে।
অনেকে আবার নিজস্ব মেধা
আর স্মার্টনেস দিয়ে এ ধরনের
প্রতিবন্ধকতা উতরে যেতে পারে। তবে
সবচেয়ে ভালো ক্যারিয়ার সিদ্ধান্ত
হলো, বিষয়ভিত্তিক পেশায়ই নিজের ক্যারিয়ার গড়া। বিষয়ভিত্তিক
পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হলে আপনাকে
জানতে হবে আমাদের দেশে
কি কি ধরনের ক্যারিয়ার
সেক্টর রয়েছে এবং এসব
ক্যারিয়ারের জন্য কি ধরনের
যোগ্যতা প্রয়োজন। চাকরি
বাজারের বিভিন্ন সেক্টর তুলে ধরা
হলো –
পোশাক
শিল্প : পোশাকশিল্পে নারী শ্রমিকদের সংখ্যা
সবচেয়ে বেশি। শ্রমিক
হিসেবে পোশাকশিল্পে নিয়োগ পাওয়ার জন্য
খুব একটা শিক্ষাগত যোগ্যতা
প্রয়োজন হয় না।
তবে সেলাই সম্পর্কে ধারণা
থাকতে হয়। পোশাক
শিল্পে শিক্ষিত ও মর্যাদাসম্পন্ন একটি
পেশা হলো মার্চেন্ডাইজিং।
মার্চেন্ডাইজিং পেশায় সাধারণত বাণিজ্য
বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর বা
এমবিএ ডিগ্রিধারীদের নেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে ইংরেজিতে খুবই
ভালো হতে হয়।
মোবাইল ফোন : মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মতো অনেক বিভাগ রয়েছে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে। এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সাধারণত কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রার্থীদের নেওয়া হয়। মার্কেটিং ও কাস্টমার কেয়ারে বিবিএ ও এমবিএ বিভাগের প্রার্থীদের নেওয়া হয়। ব্যাংকিং সেক্টর : ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো চাকরি স্থায়ী এবং অবসরের পর সরকারি চাকরির মতোই পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে প্রবেশ করার পদটি প্রবেশনারি অফিসার। প্রবেশনারি অফিসারের জন্য যোগ্যতা লাগবে যে কোনো বিষয়ে মাস্টার্স পাস, এমবিএ হলে ভালো।
শিক্ষকতা : প্রাথমিকের শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই বিভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন। প্রাথমিক শ্রেণীর শিক্ষকদের নূ্যনতম যোগ্যতা এইচএসসি পাস। অন্যদিকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করার নূ্যনতম যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। তবে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে হলে সব পরীক্ষাতেই প্রথম শ্রেণী থাকতে হবে।
ওষুধ শিল্প : ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের দেশে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগুলোও চাকরির জন্য ভালো। এসব কোম্পানিতে সবচেয়ে বেশি চাকরির সুযোগ মেডিক্যাল প্রমোশনাল অফিসার পদে। এ পদে সাধারণত বিজ্ঞান বিভাগের গ্রাজুয়েটদের নেওয়া হয়। তবে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের প্রার্থীদেরও সুযোগ রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন